খালেদা

অপরাধ প্রমাণিত হলে খালেদার সাত বছর কারাদণ্ড

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অপরাধ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়াসহ এই মামলার অপর আসামিদের সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু বাংলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার ধারা অনুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড হতে পারে। আর সর্বনিম্ন সাজা হতে পারে তিন বছর। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ারে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলামও একই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, তারা আশা করছেন আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন। জানা গেছে, আজ সোমবার রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই মামলার রায় দেবেন।

তবে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে কিনা সেই বিষয়ে আইনজীবীদের আপিল আবেদনটি খারিজ হয়ে গেলে বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করবেন। প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলার আসামিদের বিচার কাজ শুরু হয়। এর আগে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন: