১৯ বছর পর এক মঞ্চে মিলিত হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। রোববার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ‘৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের’ এক মিলনমেলায় তিনি একথা বলেন।
মিলন মেলার শুরুতে সুচনা বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজ প্রায় ১৯ বছর আমরা দু’ভাই পাশাপাশি কোন জনসভায় বসিনি। খুব সম্ভবত: ১ টা জানাযায় আমরা একত্রিত হয়েছিলাম।কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জাতীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তা না দেয়া হলে আর সহ্য করা হবে না। আর মুখ বুজেও থাকব না।
তিনি বলেন, হয় এসব যোদ্ধাদের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে, না হলে বলতে হবে এসব যোদ্ধারা ভুল করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাদের জেলেও ঢোকাতে হবে।
তখন আমরা বলতে পারব, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে জেলে গেলাম- শাস্তি পেয়েছি।বরং আজকের এই মিলন মেলায় যেন না আসতে পারে কেউ তার জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা ইয়াহিয়ার জন্য রাস্তাঘাট বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু দেশের ভেতর এমন শত্রুতা আগে কখনো দেখিনি।
তিনি বলেন, আজকে সরকারের জয়জয়কার। যেদিকে তাকাই সেদিকে আওয়ামী লীগ। সেদিকে শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাড়াবো জানি না। আল্লাহ কখন কার জন্য কি লিখে রাখেন আমরা কেউ জানি না। তিনি বলেন, আজকে রাজনীতির জন্য এই সভা আহ্বান করা হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা এটা। রাজনীতি যারা করে তারা শুধু ক্ষমতা দেখে। অনেকের মধ্যে কোন কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন একদিকে শ্রমিক নেতা অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রী। তিনি আজকে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছেন।