খালেদা-তারেক

আমি খালেদা-তারেক ছাড়া বিএনপি চাই!

সিলেটে গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রথম জনসভা। সেখানে ড. কামাল হোসেনকে ঘিরে ধরেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হকসহ নগরীর বিএনপি নেতারা। বক্তৃতায় কেন বন্দী বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়নি তাই জানতে চাওয়া হয়। ভুলে গেছেন ও সরি বলে সেযাত্রা পার পেয়ে যান ড. কামাল । আজ শনিবার চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের জনসভাতেও ড. কামাল নিজ বক্তব্যে বেগম জিয়ার মুক্তি চাননি।

বক্তব্যে তিনি সরকারের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন, সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর হুমকি দিয়েছেন কিন্তু বক্তব্যের কোথাও একবারের জন্যও বেগম জিয়া বা লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার কথা উল্লেখ করেননি। স্থানীয় সূত্র বলছে, চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঐক্যফ্রন্টের আজকের জনসভা ছিল বিএনপি ও জামাত নেতাকর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ। ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য দলের কোনো নামনিশানাও ছিল না সেখানে।

এমন জনসভায় বেগম জিয়ার নাম উচ্চারণ না করায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় নেতারা। আজও ড. কামালকে ঘেরাও করেন নেতাকর্মীরা। ড. কামাল হোসেন এবার আর সরি বলেননি। বরং ড. কামাল আজ স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘আমি খালেদা-তারেক ছাড়া বিএনপি চাই। খালেদা-তারেক ছাড়া বিএনপির জন্যই আমি এখানে (ঐক্যে) এসেছি। তাঁদের হটানোই আমার লক্ষ্য।’ ড. কামালের এমন কথায় নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

তাৎক্ষণিক ভাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ড. কামালকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে ড. কামালের কথার প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম বিএনপির মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, তবে কী খালেদা তারেককে মাইনাস করতেই তাঁকে (ড. কামাল) ঐক্যফ্রন্টের নেতা করা হয়েছে? এ পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিএনপির নেতারা দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে ড. কামালের কথার ব্যাখ্যা চান।

বিএনপির মহাসচিব চট্টগ্রাম বিএনপির নেতাদের বুঝান, ‘এখন ভাঙনের সময় না। এখন এসব নিয়ে প্রশ্ন করাও ঠিক না। আমরা একটি মঞ্চ থেকে কথাগুলো বলছি। আমরা বেগম জিয়া ও তারেক নিয়ে কথা বলছি- এটিই তো অনেক। ড. কামালকেও এ কথা বলতে হবে এমন কোনো বিষয় নয়। তিনি যে ৭ দফা দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলছেন, সেটিই আমাদের অর্জন।’

শেয়ার করুন: