Editorial Policy

বৃদ্ধাশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্টে আত্মহত্যা করলেন এক বাবা!

রাউজানে নোয়াপাড়াস্থ আমেনা-বশর বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে এক বৃদ্ধ বাবার আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ২৩ অক্টোবর রাত আটটার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।

আত্মহননকারী এই অসহায় বৃদ্ধ বাবার নাম আবুল হাশেম (৫৪)। তিনি উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের গফুর শাহ সিকদারের বাড়ির মৃত ফজল বারীর পুত্র। তিনি গত ২০১৪ সালের ১০ই নভেম্বর হতে এই বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থান করছিলেন।

এই বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের সেবক প্রদীপ দত্ত জানান, রাত আটটার দিকে তার বিছানায় খাবার নিয়ে দেখি গলায় ব্যান্ডেজের কাপড় পেঁচানো অবস্থায় তার বিছানার পাশে জানালার সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে ঝুলে আছে।

তার কক্ষে থাকা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ হোসেন নামাজ পড়তে এবং দুলাল দাশ খাবার খেতে যাওয়ার পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করেন সেবক প্রদীপ দত্ত।

বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রটির তত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ফারুক জানান, মাস খানেক পূর্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত আবুল হাসেমকে তার বোন এসে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অপারেশন করে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলা হয়।

গত ১২ দিন পূর্বে তার দুই বোন এসে পুনরায় দিয়ে যান। এমতাবস্থায় তার ডান পাও ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে। রাত-দিন পায়ের যন্ত্রণায় চিৎকার ও কান্নাকাটি করতেন।

গত সোমবার তার বোন দেখতে এলে তিনি তাদের সঙ্গে বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা আগামী বৃহস্পতিবার এসে তাকে নিয়ে যাবে বলেছিলেন। দীর্ঘ চার বছর ধরে তিনি এখানে অবস্থান করলেও তার বোন ছাড়া স্ত্রী-পুত্র কেউ তাকে দেখতে আসেনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই. শেখ জাবেদ ধারণা করেন বৃদ্ধ হাসেম শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।

জানা যায়, অাত্মহননকারী হাসেমের হলদিয়াস্থ নিজ বসত বাড়ীতে তার স্ত্রী ও সন্তানরা বসবাস করছেন। তার তিন পুত্রের মধ্যে দুই পুত্র দুবাই প্রবাসী ও একজন স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র। এরা কেউ তার খোঁজ খবর নেন নি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়া নেয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দিদারুল আলম বলেন, তার লাশ যদি তার পরিবার গ্রহণ না করেন সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা সম্পন্ন করে বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় দাফন সম্পন্ন করা হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এই বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে ১১ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী আশ্রয়ে আছেন।

আবর্জনার স্তূপ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি তার সবজি বিক্রেতা বাবাকে এত বড় প্রতিদান দিল…

মানুষের জীবনের গ্রাফ কখনোই সরলরেখায় হয় নয়, সেখানে ওঠাপড়া লেগেই থাকে। কখনো জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় আবার কখনো দুঃখের কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। ওঠাপড়া নিয়েই তো মানুষের জীবন।

তার প্রতিটি বিন্দুতে বিন্দুতে লুকিয়ে থাকে বিস্ময় আর রোমাঞ্চ। আজ দাঁড়িয়ে ২৫ বছর পরের চিত্রপট বলা যেমনই কঠিন তেমনই অবাস্তব। তার চেয়ে ভালো বরং জীবনকে নিজের মতো করে ছেড়ে দেওয়া আর সে বয়ে চলুক নিজের মতো করে, নিজের স্রোতে।

আবর্জনার স্তূপ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি তার সবজি বিক্রেতা বাবাকে এত বড় প্রতিদান দিল…
ইংরেজিতে একটা কথা আছে “জাস্ট গো উইদ ফ্লো।”

জীবন কখন কোন দিকে বাঁক নেবে কখন বা পাল্টাবে তা আগে থেকে ঠাওর করা খুবই মুশকিল, তাই জীবন যেদিকে যেতে চায় সেদিকেই যেতে দিন। এইরকমই এক পাল্টে যাওয়া জীবনের কথা, এক চরিত্রের কথাই তুলে ধরা হলো আজ এই প্রতিবেদনে।

“আবর্জনার স্তূপ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি তার সবজি বিক্রেতা বাবাকে এত বড় প্রতিদান দিল…

ঘটনাটির কেন্দ্রস্থল আসাম জেলার তিনশুঁখিয়া। আসামের দরিদ্র অধিবাসীদের মধ্যেই একজন ছিলেন ‘সবিরান’। পেশায় সবজি বিক্রেতা। প্রতিদিন সকালে সবজি বিক্রি করতে বাজারে যায়, আর সেই সবজি বিক্রির টাকা থেকেই চলে সবিরানের ছোট সংসার।

তার এই ছোট্ট সংসারে ঘটলো একদিন এক অদ্ভুত ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত এখান থেকেই।

শেয়ার করুন: