নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করতে শিখেছে। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে বিএনপি-জামায়াত মা বলার পর গো বলার সুযোগ পাবে না। আওয়ামী লীগের লোকজন যদি একবার ঘর থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবে না।’
‘বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে আমাদের এক লাখ লোক মারা যাবে। কিন্তু আমি তোফায়েল ভাই ও কাদের ভাইয়ের সুরে কথা বলব না। আগামী ২৭ তারিখের পর তাদেরকে দেশে থাকতে দেব না। আগামী ২৭ অক্টোবর ঘণ্টা বাজানোর জনসভা হবে।’ আগামী ২৭ অক্টোবর ফতুল্লার নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কের জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে শনিবার বিকেলে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, এই জনসভার মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে নয় সারাদেশের মানুষকে দেখিয়ে দিতে চাই। বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষ লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করেছিল। সেভাবে আবার জেগে উঠবে মানুষ। আবারও লগি-বৈঠা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের মাটিতে রাজাকারদের বীজ বপন করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যারা মারতে চেয়েছে তাদের সঙ্গে কোনো আপস করব না। শেখ হাসিনাকে যারা সরাতে চেয়েছে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নরসিংদীর জঙ্গিদের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জঙ্গিদের লিংক রয়েছে। কয়েক দিন আগে ফতুল্লায় গোপন বৈঠক থেকে নয়জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানতে পারলাম ওই গোপন বৈঠকে ২৫ জন জঙ্গি ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই পালিয়ে গেছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সবাই সজাগ থাকবেন। নারায়ণগঞ্জে কোনো জঙ্গির ঘাঁটি হতে দেয়া হবে না। শামীম ওসমান বলেন, আগামী দুই মাস কাউকে চিনি না, চিনতে চাই না। দুই মাসের আগে গণতন্ত্রের কথা চিন্তা করব না। দুই মাস পর গণতন্ত্রের চর্চার চিন্তা করব। এ সময়ের মধ্যে ঘণ্টা বাজাব। আমরা যার যার অবস্থানে থেকে ঘণ্টা বাজাতে চাই। তারা কোথায় কি করে চোখ কান খোলা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলাবেন না। ভাববেন না আমরা মরলে আপনারা বেঁচে যাবেন। আমার এলাকায় ডুয়েল খেলা খেলতে দেয়া হবে না। সাবধান হয়ে যান। আর আমার দুলাভাই আওয়ামী লীগের বড় নেতা বলে পার পাবেন না। আগামী ৩০ তারিখের পর চোখের পর্দা থাকবে না। এটা আমাদের শেষ লড়াই হবে।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সানাউল্লাহ, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান ও সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ প্রমুখ।