নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এইবারের সাথে অন্যবারের তফাৎ আছে। তোফায়েল আহমেদের মতো লোক পাবলিক মিটিংয়ে বলেন ক্ষমতায় না গেলে এক রাতে ১ লাখ লোক মারা যাবে।
না বুঝে তো বলেন নাই। পার্টির সেক্রেটারী বলছেন, ক্ষমতায় না গেলে সনাতন ধর্মের কেউ থাকতে পারবে না। তাহলে অবশ্যই ইনফরমেশন আছে। আমি কিন্তু তোফায়েল ভাইয়ের ভাষায় কাদের ভাইয়ের ভাষায় কথা বলবো না। আমার ভাষা হবে অন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে এটা, ২৭ তারিখের পরে আমরাই ওদের থাকতে দিব না। কিসের গণতন্ত্র চর্চা করবো, কার সাথে। যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তাদের সাথে গণতন্ত্র চর্চা করবো। আমরা কি লেমন জুস খেতে আসছি নাকি।
আমার নেত্রীকে মেরে ফেলবে, নেতাদের জেলখানায় নিবে, আর আমি তাদের সাথে লেমন জুস খাবো এটা হতে পারে না। আগামী ২ মাস কাউকে চিনি না। ডিসেম্বরের পরে গণতন্ত্রের চর্চা করবো। এ সময়ের মধ্যে ঘণ্টা বাজাব। আমরা যার যার অবস্থানে থেকে ঘণ্টা বাজাতে চাই। তারা কোথায় কি করে চোখ কান খোলা রাখতে হবে।’ শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করতে শিখেছে। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে বিএনপি-জামায়াত মা বলার পর গো বলার সুযোগ পাবে না। আওয়ামী লীগের লোকজন যদি একবার ঘর থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবে না।’
ফতুল্লার নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে আগামী ২৭ অক্টোবর জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে শনিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলাবেন না। ভাববেন না আমরা মরলে আপনারা বেঁচে যাবেন। আমার এলাকায় ডুয়েল খেলা খেলতে দেয়া হবে না। সাবধান হয়ে যান। আর আমার দুলাভাই আওয়ামী লীগের বড় নেতা বলে পার পাবেন না। আগামী ৩০ তারিখের পর চোখের পর্দা থাকবে না। এটা আমাদের শেষ লড়াই হবে।’
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সানাউল্লাহ, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান ও সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ প্রমুখ।