সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী

একদম কোণঠাসা হয়ে পরেছে সাকা পরিবার!

সামনে আসছে জাতীয় নির্বাচন। এ নিয়ে সবার মাঝেই কাজ করছে অন্যরকম এক উত্তেজনা। তবে এবারের নিরবাছনে বেশ কিছু নতুনত্বও খুজে পাওয়া যাচ্ছে। তবে গভীর সংকট সময় অতিক্রম করছে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি হওয়া চট্টগ্রামের সাবেক বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পরিবার।

সাকা না থাকার কারনে এলাকার রাজনীতিতে একদম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে পরিবারটি। তার অনুসারী নেতাকর্মীরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যাচ্ছেন। মূলত দলে বিভক্তি ও ইমেজ সংকটের কারণেই বেকায়দায় পড়েছে পরিবারটি। আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রামের তিনটি আসন তথা চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) ও চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) থেকে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাকা পরিবারের তিন সদস্য। তবে এসব আসনে তাদের অবস্থান ভালো নয়। অনেক দিন ধরে দেশেও নেই এই পরিবারের সদস্যরা।

তাছার আবার দলে বিকল্প প্রার্থী তৈরি হয়ে যাওয়ার বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তারা। আর এর ফলে শেষমেষ তারা মনোনয়ন পেলেও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে পাবেন কি-না তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। আর এসব কারণে নির্বাচন সামনে রেখে পরিবারটিকে নিয়ে আশা-নিরাশার দোলাচলে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সাকা চৌধুরীর বড় ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া, সাকার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী ফটিকছড়ি ও ছোট ভাই গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী রাউজান থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তবে তারা দেশে নেই। হুম্মাম কাদের চৌধুরী এখন সিঙ্গাপুরে, সাকার আরেক ছেলে ফায়েজ কাদের চৌধুরী লন্ডনে, মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী কানাডায় এবং স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী ঘুরেফিরে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বিদেশে থাকছেন বলে জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী নূর। চট্টগ্রামে সাকা পরিবারের সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরী। রাষ্ট্রদ্রোহসহ বিভিন্ন মামলায় তিনি এখন কারাগারে।

আরেকজন কাছের মানুষ নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ উল্লাও কাছে নেই। আরও অনেকে দূরে সরে গেছেন। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, রাঙ্গুনিয়া আসনে বিএনপির একেবারে বাজে অবস্থা।

শেয়ার করুন: