আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাপ-ছেলে দুইজনের খেলার বিরল কাহিনী

পিটার পলোক একজন লিজেন্ড শ্রেণীর ফাস্ট বোলার যে ১৮ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১১৬ টি উইকেট নেয়। তার ছেলে কোন দ্বিধা ছাড়াই একজন ট্যালেন্টেড অলরাউন্ডার। সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে ট্যালেন্টেড বোলারদের একজন (৪২১ উইকেট) এবং নবম সর্বচ্চ রান (৩৭৮১) এবং এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় ক্রিকেট কমেন্টারিদের একজন।

‌অমরনাথ

বংশপরম্পরায় ঐতিহ্যগত ক্রিকেট ধারক তারা। লালা অমরনাথ ইন্ডিয়ার সর্বপ্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান এবং সেটি তার প্রথম ম্যাচেই। সে ছিলেন স্বাধীন ভারতের সর্বপ্রথম ক্যাপ্টেন।

তার দুই ছেলে। সুরিন্দর এবং মোহিন্দর। এই দুইজন বাবার পদচিহ্ন অনুসরন করেছে সফলভাবেই।
অকল্যান্ডে টেস্টে ডেব্যু হিসেবে সুরিন্দর তার বাবার মতোই সেঞ্চুরিয়ান ছিল।

আর দুই বছরের ছোট মোহিন্দর তার দাদার চেয়ে নিজেকে কিছু বেশি সফল দাবি করতেই পারেন। ৬৯ টি টেস্ট খেলে ১১ টি সেঞ্চুরির অধিকারী। ১৯৮৩ বিশ্বকাপে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তেকে দলকে টেনে নিয়েছিলেন তিনি।

‌হানিফ ও শোয়েব মোহাম্মদ

হানিফ মোহাম্মদ নামের সাথে জড়িয়ে আছে সবচেয়ে বেশি সময় টেস্ট ইনিংস খেলার ইতিহাস। ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপরীতে তিনি ৯৭০ মিনিটের এক ম্যারাথন খেলা খেলেন যেটায় সে তার সেঞ্চুরি করে চার নতুন খেলোয়ায়ার কে ক্রিজের ওপর পাশে নিয়ে।

সেই চারজনের একজন ছিল তার ভাই, ওয়াজির। যদিও তার ছেলে শোয়েব মোহাম্মদ এতো সাফল্যের পরিচায়ক হতে পারেননি। ৪৫ টি ম্যাচ খেলে এভারেজ ৪৪.৩৪।

‌ক্রিস- স্টুয়ার্ট ব্রোড

সিনিয়র ব্রোড ২৫ টি টেস্ট ও ৩৪ টি একদিনের ম্যাচ খেলেন দারুন সাফল্যের সাথে। যেখানে ৩ টি শতাধিক রান তার দখলে ছিল। তার ছেলে স্টুয়ার্ট ২০০৭ সালে ডেব্যু হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের নাম লেখায় এবং সময়ের সাথে সাথে ইংল্যান্ডের সর্বসময়ের সেরা বোলারদের মধ্যে তিন নাম্বার জায়গা দখল করে আছেন।

‌বিজয়- সঞ্জয় মাঞ্জেরকার

ইন্ডিয়া থেকে নির্গমিত ফাস্ট বোলারদের মধ্যে ফাইনেস্ট বোলারদের মধ্যে মাঞ্জেরকার সিনিয়র একজন যে ৫৫ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। মাত্র বিশ বছর বয়সে ডেব্যু হিসেবে তার আগমন।

ইংল্যান্ডের বিপরীতে তার সেই সময়ের সেঞ্চুরিটি তাকে এখনো মনে করিয়ে দেয়। তার ছেলে জুনিয়র মাঞ্জেরকার ইন্ডিয়া কেও রিপ্রেজেন্ট করে আসছে টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে টিভি কমেন্টেটর হিসেবে।

‌মিকি- এলিশ স্টুয়ারট

২৬০০০ ফার্স্ট ক্লাস রানের মিকি স্টুয়ার্ট ক্লাসিক লিজেন্ড যদিও তার ইংল্যান্ড এ ক্যারিয়ার স্প্যান্ড ছিল মাত্র ৮ টা টেস্ট ম্যাচে। তার ছেলে এলিস, নিজেকে মেলে ধরেছে একজন নামকরা উইকেটকিপার, ব্যাটস্ম্যান এবং দলনায়ক হিসেবে। ২০০৩ সালে ১৩৩ টি টেস্ট খেলার পর সে অবসরে যায় এবং নিজের ঝুড়িতে নিয়ে যায় ৮৪৬৩ রান।

‌পাতৌদিরা

ইফতিখার আলী খান পাতৌদি- জনপ্রিয় পাতৌদির নবাব হিসেবে পরিচিত। যে কিনা একমাত্র টেস্ট ক্রিকেটার যে ইংল্যান্ড এবং ভারতের হয়ে খেলেছে। তার টেস্ট ক্রিকেটে ডেব্যু হয় সেঞ্চুরি দিয়ে তবে তারপর সে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছে মাত্র দুই ম্যাচ।

১৯৪৬ সালে তার লাস্ট তিনটা ম্যাচ ভারতের পক্ষে ইংল্যান্ড এর বিপক্ষে। তার ছেলে মনসুর আলী খান পাতৌদি ইন্ডিয়ার হয়ে ৪৬ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে তার মধ্যে অধিনায়কত্ব করে ৪০ টি এবং রান করে ২৭৯৩ রান ৩৪.৯১ এভারেজে।

‌জিওফ, সাউন এবং মিশেল মার্স

অস্ট্রেলিয়ার রাইট হ্যান্ড অপেনার জিওফ মার্স ৫০ টি টেস্ট খেলে এবং ১৯৮৭ সালের ওয়ার্ল্ডকাপে অস্ট্রেলিয়ার জিতে বেসিক ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল। তার বড় ছেলে সাউন একজন বাহাতি ব্যাটস্ম্যান তার টেস্ট ম্যাচ ডেব্যু হিসেবে শুরু করে ২০১১ সালে এবং তাকেই অনুসরন করে তার ছোট ভাই মিশেল, একজন অলরাউন্ডার ২০১৪ সালে।

‌নাজার মোহাম্মদ ও মুদাসসার নাজার

সিনিয়র মোহাম্মদ ১৯৫২ সালে ইন্ডিয়ার বিপক্ষে তার প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলে তবে পাকিস্তানের রেকর্ড বুকে ফার্স্ট সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে তার নাম লিখেন। তার ছেলে মুদাসসার ৭৬ টি টেস্ট খেলে রান করে ৪১১৪ রান যার মধ্যে ১০ টি সেঞ্চুরি আর ৬ টি ইন্ডিয়ার বিপক্ষে। নাজারের মেইডেন হান্ড্রেড ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৭৭-৭৮ সালে করে যেটি আসে ৫৫৭ মিনিটে।

শেয়ার করুন: