খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতের শর্ত পূরণ না করে ব্যয় সংকোচন করছেন দেশপ্রেমহীন অসাধু ব্যবসায়ীরা। অনেকে খাবার তৈরি করছেন অনুমোদন ছাড়াই। আর সরল বিশ্বাসে এদের প্রতিষ্ঠানের খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন শিশুসহ দেশের অসংখ্য মানুষ।
এবার খাবার তৈরির দায়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার নামকরা দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। জরিমানা করা প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে- আদি মরণ চাঁদ বেকারি এবং ইউসুফ বেকারি।
দেশে ভেজালবিরোধী ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদের নেতৃত্বে বিভিন্ন খাবার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় আদি মরণ চাঁদ বেকারি এবং ১২টা ৫০ মিনিটে ইউসুফ বেকারিতে অভিযান চলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ জানান, পূজাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত লাভের আশায় খাবারে রঙ মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করে বাজারজাত করছিল আদি মরণচাঁদ। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে বিএসটিআই’র অনুমতি না নিয়ে খাবার তৈরির দায়ে ইউসুফ বেকারিকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তারা মিষ্টি বানাচ্ছিল। অসুস্থ একজন ব্যক্তি যার হাতে ব্যান্ডেজ করা, সে এই অবস্থা নিয়েই মিষ্টি বানাচ্ছিল।
এদিকে ফেসবুকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মাহবুব কবির মিলন জরিমানা আরোপ করা দুই বেকারির ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যায়, মরণ চাঁদের লাড্ডু বানানো হচ্ছে মেঝেতে ঢেলে।
একপাশে দেয়াল, চাটাই বিছিয়ে বাঁ হাতে লাড্ডু তৈরি করছেন হাতে ব্যান্ডেজ থাকা একজন। একটি কড়াইয়ে দুধের ক্ষীর, কৌটায় মাছি ও পোকা গিজগিজ করছে।
অন্যদিকে, ইউসুফ বেকারির ছবিতে দেখা যায়, নষ্ট ডিম দিয়ে বিস্কুট বানানো হচ্ছে, বিস্কুটের ট্রে নোংরা। চুলার পাশেই গোসলখানা। ভেতরে নোংরা পরিবেশে রাখা খাবার তৈরির যন্ত্রপাতি।