বাংলাদেশে তিতলি: ভারী বৃষ্টিসহ আবহাওয়া নিয়ে যে দুঃসংবাদ

ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় তিতলি বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের উডিষ্যা রাজ্যের গোপালপুরে আঘাত হানলেও তা পুরো শক্তি নিয়ে বাংলাদেশে আসার আশঙ্কা নেই। বরং নিম্নচাপ আকারে আসবে। ফলে উপকূলীয়সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

তবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর সতর্কতা দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ নিঝুম আহমেদ বলেন, তিতলি বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। তবে নিম্নচাপ আকারে আসবে। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত হারিকেনের তীব্রতা সম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড় তিতলি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাতে গোপালপুরের কাছ দিয়ে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল পার হয়েছে।

এটি আরও উত্তর বা উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকট সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।

উডিষ্যা রাজ্যের গোপালপুরে বৃহস্পতিবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় তিতলি আঘাত হেনেছে। প্রায় তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়নি। উডিষ্যা থেকে দুর্বল হয়ে তিতলি বাংলাদেশের দিকে আসবে।

শেয়ার করুন: