যে কারণে নিজেই নিজেকে বিয়ে করলেন এই নারী!

বসয় হয়ে গেছে ৩০। তাই বাবা-মার দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম। বিয়ের জন্য তারা দিচ্ছে পরিবার। বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা কমাতে অবশেষে নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন উগান্ডার এক নারী। বিয়ের মণ্ডপে আত্মীয়-বন্ধুবান্ধব সবাই সামনে সব রীতি-রেওয়াজ মেনে নিজের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধলেন উগান্ডার এই নারী।

উগান্ডার এই বাসিন্দার নাম লুলু জেমিমাহ। সে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ মিডিয়া (চলচ্চিত্র) বৃত্তি পায়। স্নাতক পাশ করে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য আবেদন করেন লুলু। ২০১৭ সালের আগস্টে সেখানে যোগ দেন। এর আগে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও জনসংযোগকারী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে উঠে এসেছে এমন একটি ঘটনা। সেদিন ছিল লুলুর জন্মদিন। ওই দিনই তিনি বিয়ে করবেন বলে জানান। এরপর বিয়ের সাজে হাজির হলেন লুলু। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের এই ছাত্রী ঘোষণা করলেন, আর কাউকে নয়। নিজেকেই নিজে বিয়ে করছেন তিনি। কারণ তার কাছে নিজের পড়াশোনা, স্বপ্নের চেয়ে বড় কিছুই নয়। আর তাদের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চান তিনি।

তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে তার বাবা-মা আসেননি। লুলু জানান, পরের দিন ওদের সঙ্গে কথা বলি। তখনও ওরা ধন্দে ছিল। খানিকটা আহতও হন। কিন্তু আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম, আমি বিয়ের জন্য এখনও প্রস্তুত নই। আর জেমিমাহ এ বিয়ের পুরো অনুষ্ঠানেখরচ হয়েছে মাত্র ২ ইউরো। সেটাও হয়েছে যাতায়াত বাবদ। তার এক বান্ধবীর সৌজন্যে জোগাড় হয়ে গিয়েছিল বিয়ের গাউন। আর বিয়ের কেকটি বানিয়ে দিয়েছিল তার ভাই। আর অতিথিরা পানশালার খরচ নিজেরাই মিটিয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার ১৬ বছরের জন্মদিনে আমার বিয়ের বক্তৃতা তৈরি করে ফেলেছিলেন বাবা। আগে আমার জন্মদিনে মা আমার জন্য প্রার্থনা করতেন। ইদানিং তার সঙ্গে জুড়েছিল ভাল পাত্র পেলে বিয়ে দেয়া। যে আমার যত্ন করবে, আমাকে ভাল রাখতে পারবে। আর আমি আমার ৩২ বছরের জন্মদিনে এমন একজনকে বিয়ে করলাম, যাকে নিয়ে আমি নিশ্চিত, যে সে আমায় ভাল রাখবেই।