২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তারেক জিয়ার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেন তার শাশুড়ি। তাঁর শাশুড়িই ২০০৪ সালের আগস্টে তারেক জিয়ার গতি বিধি এবং আচার আচরণ নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন, তার নিকটাত্মীয়দের কাছে।
তারেকের শ্বশুরবাড়ি ধানমন্ডি পাঁচ নম্বর সড়কে। তার শ্বশুর প্রয়াত রিয়াল এডমিরাল মাহাবুব আলী খানের বাড়িটি এক বিঘা জমির উপর। স্বামীর মৃত্যুর পর তারেক জিয়ার শাশুড়িই ইকবালবান্দ বানুই সংসার দেখাশোনা করেন। ২০০৪ সালের আগস্টের শুরুতেই তারেক জিয়ার শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত বেড়ে যায়। উল্লেখ্য তারেকের শ্বশুর বাড়ির সামান্য দূরত্বেই ‘সুধাসদন’ আওয়ামী লীগ সভাপতির বাসভবন।
তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী বিভিন্ন কর্মসূচিতে যাওয়া আসা করতে হতো, ৫ নম্বর সড়ক দিয়েই। তারেকের শ্বশুড়বাড়ির সামনে দিয়েই শেখ হাসিনা চলাফেরা করতেন। আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে তারেক শ্বশুরবাড়িতে থাকা শুরু করেন। এসময় একটি রুম নিয়ে সেখানে কম্পিউটার সহ নানা যন্ত্রপাতিও বসান। ইকবালবান্দ বানু, প্রথমে এটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিলেও পরে সন্দেহ শুরু করেন। তারেকের শাশুড়ি জানান যে, বাসার সামনে তারেক সিসিটিভি বসায়।
ঐ সিসিটিভির ফুটেজে শেখ হাসিনার যাতায়াতের ছবিগুলো বাছাই করে আলাদা করতে থাকেন। তারেকের শাশুড়ির এতে সন্দেহ হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে কথাও বলেন। ২১ আগস্টের ঘটনার পর তারেক শ্বশুরবাড়ি থেকে ক্যাম্প সরিয়ে ফেলেন। তারেকের শাশুড়িই প্রথম তারেক কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ‘এই ঘটনা (২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা) কি তুমি ঘটালে?