২১ শে আগস্ট হামলা মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। দুপুর বারোটার কিছু আগে আদালতে রায় পড়া শুরু হয়। এর আগে বিশেষ নিরাপত্তায় সকালে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত ৩১ আসামিকে হাজির করা হয়। আদালতের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে অসংখ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাংলাদেশের পেনাল কোড দণ্ডবিধি ৩০২ ধারা অনুযায়ী হত্যাকাণ্ড সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হলে তার সাজা মৃত্যুদণ্ড। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলে তার সাজা যাবজ্জীবন থেকে ১৪ বছর। এই মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে তারেক জিয়ার জড়িত থাকার কথা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হওয়ার পরেও তাঁকে কেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ভুক্তভোগী, নিহতদের পরিবার, আওয়ামী লীগ তারেকের ফাঁসি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলিরা বলেছেন, তারেকের শাস্তি বাড়ানোর জন্য তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। এদিকে, তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো না কেন তা নিয়ে ক্ষুদ্ধ দেশের বিভিন্ন মহল। আজ দুপুর ১২টায় রায় ঘোষণার পরপরই ঘটনার ভুক্তভোগী, আহতরা, নিহতদের পরিবার এবং আওয়ামী লীগ ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
কেননা গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ডই ছিলেন তারেক। এই মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে তারেক জিয়ার জড়িত থাকার কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ার পরেও তাঁকে কেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি নিহত হন।