প্রবল আকার ধারণ করেছে ‘তিতলি’, ৪ নং হুঁশিয়ারি সংকেত

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা ঝড়ো ও দমকা হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে বুধবার (১০ অক্টোবর) ভোরে উত্তর, উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে এটি প্রবল আকার ধারণ করেছে। বুধবার (১০ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে পূর্বে দেখানো ২ নম্বর স্থানীয় সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থারত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে বলা হয়েছিল, ঘূর্ণিঝড় তিতলি বাংলাদেশ উপকূলে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে। আর দুর্বল হয়ে পড়লেও নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হবে।

পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তিতলি বুধবার (১০ অক্টোবর) ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে,

মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম বলেন, ‘মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত তীব্র ঘূর্ণিঝড় তিতলি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে।

এটি আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি খুব ধীরে ধীরে আগাচ্ছে।

এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে হয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল থেকে ভূ-ভাগে আঘাত হানতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল থেকে ভূ-ভাগে আঘাত হানতে পারে।

এখন পর্যন্ত যে গতিপথ তাতে এটি ভারতের উরিষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপ আকারে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। এ কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের উপকুলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’

শেয়ার করুন: