চপ বিক্রেতার আয় কত? খোঁজ নিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের

একজন পকোড়াওয়ালা এত সম্পত্তি কী করে হলো? তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে চমকে গেলেন খোদ পুলিশ সুপার। প্রতিনিয়ত বাড়ছে দোকানের নাম-যশ-খ্যাতি।

ক্রেতাদের তালিকায় রয়েছেন নামী রাজনৈতিক নেতা, সরকারি অফিসার, নামজাদা ব্যবসায়ী এমনকী পুলিশ অফিসাররাও। কিন্তু একজন পকোড়াওয়ালা এত সম্পত্তি কী করে হলো? তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েই গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশ সুপারের।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, লুধিয়ানার বিখ্যাত পান্না সিংহ পকোড়ার দোকানে হানা দেয় আয়কর বিভাগ ও পুলিশের একটি দল। সেখানে গিয়ে দোকানের ব্যবসার কাগজপত্র খতিয়ে দেখার সময়ে অঘোষিত আয়ের হদিশ পান তদন্তকারীরা।

১৯৫২ সালে পান্না সিংহ এই দোকানটি তৈরি করেন। তার পরে থেকেই এই দোকানের পকোড়ার সুখ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র পঞ্জাবে নয়, আশেপাশে রাজ্যেও এই দোকানের সুনাম রয়েছে। বর্তমানে এই দোকানের পনির পকোড়া ও দই ভাল্লা খুব বিখ্যাত। পান্না সিংহ মারা যাওয়ার পরে এখন তাঁর উত্তরসূরিরা দোকানটি চালান।

তবে মোট কত টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযানকারী দলের কোনও সদস্যই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দোকানের বর্তমান মালিক দেব রাজ।

তিনি প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা সরকারি অফিসারদের ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পকোড়া বেঁচে এত টাকা আয় কী ভাবে হয়, ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।

শেয়ার করুন: