ভারতের সেরা ধনী মুকেশ আম্বানিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী তিনি। তাকে নিয়ে অনেক গল্প জানেন মানুষ। তার বিত্তের পরিমাণ তুলে ধরেন অনেকে। এখানে দারুণ ৭টি জিনিসের কথা জানুন যার মালিক মুকেশ আম্বানি।
১. একটি বাড়ি: তিনি অনেক বাড়ির মালিক। কিন্তু যেখানে পরিবার নিয়ে রয়েছেন, সেই ২৭ তলা 'আনটিলিয়া' কথা সবাই জানেন। এর বিস্তৃতি ৪ লাখ বর্গফুট। বিশেষত্ব হলো, এই ভবনের অনেকে তলা আছে যার উচ্চতা স্বাভাবিক গড় উচ্চতার চেয়ে অনেক বেশি। প্রত্যেক তলা স্বাভাবিক উচ্চতার হলে এটি ৪০তলা ভবন হতো। জমির দামসহ এ ভবন ১ বিলিয়ন ডলারের।
২. বহুতল গ্যারেজ: মুকেশ আম্বানির এই ভবনে বহুতল গ্যারেজ রয়েছে। সেখানে ১৬৮টি গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এই ভবনে তিনটি হেলিপ্যাডও রয়েছে।
৩. মুভি থিয়েটার: মুকেশ আম্বানির ওই বাড়ির ৮তলায় আছে একটি ব্যক্তিগত মুভি থিয়েটার। এখানে ৫০ জন মানুষ একযোগে বসে সিনেমা দেখে।
৪. তুষারপাতের কক্ষ: মুকেশ আম্বানির বাড়িতে রয়েছে একটি 'স্নো রুম'। গরমে চাইলেই সেখানে বসে তুষারপাত উপভোগ করা যায়। কৃত্রিমভাবে সেখানে তুষারপাতের ব্যবস্থা রয়েছে।
৫. সাড়ে আট কোটি রুপির বিএমডাব্লিউসহ গাড়ির বহর: ভারতের সেরা ধনী তিনি। মুকেশ আম্বানি একটি বিএমডাব্লিউ গাড়িতে যাতায়াত করেন। এর দাম ৮.৫ কোটি রুপি। বিএমডাব্লিউ ৭৬এলআই মডেলের গাড়িটি ভিআর৭ প্রোটেকশনের ব্যবস্থা রয়েছে। গাড়ির কাঁচগুলোর পুরুত্ব ৬৫ মিলিমিটার এবং প্রতিটির ওজন ১৫০ কেজি। গোটা গাড়িটি তো অবশ্যই বুলেট প্রুফ।
৬. বিশ্বের বৃহত্তম রিফাইনারি: সবাই হয়তো জানেন যে, জামনগর ওয়েল রিফাইনারির মালিক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ১৯৯৯ সালের এক হিসাবে বলা হয়, এই রিফাইনারিতে প্রতিদিন ৬৬৮০০০ ব্যারেল তেল রিফাইন করা হয়।
৭. ভারতের সর্ববৃহৎ টেলিকম অপারেটর কম্পানি: খুব বেশি দিন হয়নি যাত্রা শুরু করেছে রিলায়েন্স জিয়ো। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হওয়া এ প্রতিষ্ঠান এখন ভারতের সবচেয়ে বড় টেলিকম অপারেটর কম্পানিতে পরিণত হয়েছে। মাত্র ১৭০ দিনে সাবস্ক্রাইবারের ভিত্তিতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায় এর আয়। সূত্র: গেজেট স্নো