শিরোপা জিতেছিল মেয়েরা, ছেলেরা পারবে কি?

চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এক ইতিহাস রচনা করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের ফাইনালে ম্যাচে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিলেন সালমা ও রোমানারা।

শিরোপা জয়ের সেই ঐতিহাসিক স্মৃতি ছেলেদের ক্ষেত্রেও টনিক হয়ে কাজ করবে কীনা তার উত্তর খুঁজতে অপেক্ষা করতে হবে আজকের ফাইনাল ম্যাচ শেষ হওয়া অবধি।

ছেলেদের ক্রিকেট দল এর আগে দুইবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেললেও জিততে পারেনি শিরোপা। ২০১২ ও ২০১৬ সালে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও তা জয় করা হয়ে ওঠেনি মাশরাফি বাহিনীর। এবার তৃতীয়বারের মত সুযোগ এসেছে শিরোপা স্বপ্ন পূরণের।

প্রতিপক্ষ সালমাদের মতোই ভারত। এবার আর হারতে চায় না বাংলাদেশ, সালমা-জাহানারাও চায় তাদের ভাইরা দেশের জন্য জিতে আনুক এশিয়া কাপের ট্রফি।

সে লক্ষ্যে নিজেদের শিরোপা জয়ের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে মাশরাফিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের তারকা পেসার জাহানারা আলম। নিজের বিবৃতির শিরোনাম তিনি দিয়েছেন, ‘ট্রফি একটা এসে গেছে, আরেকটা আসছে’।

‘মেয়েদের এশিয়া কাপের শুরুতে ভাবতে পারিনি ফাইনালে উঠব। যখন উঠলাম তখন ভেবেছিলাম একটু ভালো খেললে জিততে পারব। মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এবার দুটি এশিয়া কাপের ট্রফি আসবে দেশে।

একটা এসে গেছে, আরেকটা আসছে। একটা ইতিহাসই হবে আশা করি। প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদের বিপক্ষে ভারত অনেক শক্তিশালী দল ছিল। ওদের আগে কখনো হারাতে পারিনি আমরা। ছেলেদের কথা যদি বলি, ভারত অবশ্যই শক্তিশালী দল।

‘তবে ছেলেদের দলে ওদের অনেকবারই হারিয়েছে। সিরিজও জেতা হয়েছে ওদের বিপক্ষে। তবে বাংলাদেশের দুজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় থাকছে না এ ম্যাচে। দুজন না থাকার পরও মুশফিক ভাইয়ের দুর্দান্ত একটা ইনিংস আমাদের ফাইনাল তুলেছে। আশা করি এবার আর অন্তত ছেলেদের দল আটকে থাকবে না। এবার আশা করি জিতবে।’

‘আর সত্যি বলতে কী চ্যাম্পিয়ন হতে আসলে ভাগ্যও লাগে। ছেলেদের দল ভারতের বিপক্ষে যে ক্লোজ ম্যাচগুলো হেরেছে সেগুলো যদি ম্যাচের আগে বিশ্লেষণ করে, তাহলে বুঝতে পারবে কখন কী করতে হবে। মাথা ঠান্ডা রেখে খেললেই হবে।

দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে তারা নিয়মিত খেলে। আশা করি এবার ভাগ্য আমাদের সহায় হবে। ভালো খেললে সবাই মাথায় তুলে রাখবে, খারাপ করলে মাটিতে নামিয়ে দেবে। ট্রফি জিতলে একটা মাতামাতি তো হবেই। এটা অনেক বড় আনন্দের বিষয়। আমরা সব সময়ই চাই বাংলাদেশ জিতবে, আনন্দের উপলক্ষে তৈরি হবে।’

শেয়ার করুন: