রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে শনিবার বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা পরিচয় দিয়ে কামরুল হাসান নাসিম নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই ব্যক্তি ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল করতে গিয়ে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। যদিও সেবার দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পান তিনি।
এই কামরুল হাসানই একসময় নিজেকে আসল বিএনপির প্রধান বলে দাবি করে এসেছেন। আজকের সংবাদ সম্মেলনে আট পাতার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কামরুল হাসান। এ সময় তিনি দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বলেন। নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার জন্য তিনি একত্রিশ ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেন।
নির্বাচনকালীন সরকারে একত্রিশ ব্যক্তির নাম প্রস্তাব: বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে কামরুল হাসান বলেন, বিএনপি ভাঙা তার উদ্দেশ্য নয়, পুনর্গঠন করা তার উদ্দেশ্য। তিনি চান বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন।
খালেদা জিয়ার জায়গায় তার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন এবং কারাবরণ করবেন। রাজনীতিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা নেই বলে তিনি মনে করেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, বিদেশি শক্তির ওপর আর নির্ভরশীলতা নয়। অসৎ উদ্দেশ্যের ড.কামাল হোসেনদের প্রয়োজন নেই আমাদের। বিএনপির নেতৃত্ব তার হাতেই রয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন তারাই দেবেন।