পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অস্থায়ী আদালতে আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেই সাথে শুনানিতে বার বার উপস্থিত হওয়া তার পক্ষে সম্ভব না বলেও জানান তিনি। তিনি বলেছেন, ‘এই আদালতে কোনো ন্যায় বিচার নেই। তাই আপনি (বিচারক) যত ইচ্ছা সাজা দিন। আমি আর এ আদালতে বারবার আসতে পারব না।’
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী এই আদালত বসানো হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে এই কারাগারে সাজা ভোগ করছেন খালেদা জিয়া।
মামলার শুনানির আগের দিন আদালত স্থানান্তর করতে গেজেট জারি করায় ক্ষোভ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার আইনজীবীরা এই আদালত সম্পর্কে কিছু জানেন না। ১০ দিন আগে এই আদালত গঠন হয়েছে। অথচ গতকাল মঙ্গলবার এর গেজেট প্রকাশ করা হলো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না। আমার পা ফুলে গেছে। ডাক্তার বলেছে, পা ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। এখানে আমি আদালতে বারবার আসতে পারব না। ইচ্ছামতো আপনারা যা খুশি সাজা দিয়ে দেন।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ‘এখানে ন্যায়বিচার হয়নি, সরকারের ইচ্ছায় বিচার হচ্ছে। আমি এখানে ন্যায়বিচার পাবো না। গত রাতে এ আদালতের গ্যাজেট হয়েছে। আমার আইনজীবীরা আসতে পারেনি।’ এদিন দুপুর ১২টা ১৪ মিনিটে খালেদা জিয়াকে কারাগারে তার কক্ষ থেকে হুইল চেয়ারে করে আদালতের এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে আদালতের কার্যক্রম শেষে এরপর হুইল চেয়ারে করে তাকে কারাগারে নিজ কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তার পরনে ছিল একটি গোলাপী রঙের শাড়ি। আর তার হাত-পা একটি সাদা কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। আদালতে দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
আর সেখানে উপস্থিত ঢাকা বারের সভাপতি গোলাম মোস্তফা খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় প্রার্থনা করলে আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে আদালত বসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরেও গড়ে তোলা হয় কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী।