ত্রিশ বছরের বেশি সময় আগে পুলিশে চাকরি করছেন বাবা। একজন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগ দিয়ে ধীরে ধীরে তিনি উঠে এসেছেন ডেপুটি কমিশনার র্যাঙ্কে।
পদোন্নতি হতে হতে এখন তিনি আইপিএস অফিসার। বর্তমানে তিনি পুলিশের মালকাজগিরি ডিভিশনের দায়িত্বে। আর মেয়ে? সেই গল্পই সাড়া ফেলে দিয়েছে মিডিয়া আর সোশ্যাল সাইটে।
ভারতের সেই পুলিশ অফিসারের নাম এ আর উমামহেশ্বর শর্মা। মেয়ে সিন্ধু শর্মা তেলেঙ্গনা রাজ্যের জাগতিয়াল জেলার পুলিশ সুপার। দুজনের দেখা হয়ে গেল তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সভায়।
মেয়েকে দেখেই উমামহেশ্বরের শরীর টানটান। হাত উঠে এল কপালের কোনায়। পুলিশি প্রথা মেনে নিজের মেয়েকে স্যালুট ঠুকলেন তিনি। মেয়েও তার প্রত্যুত্তর দিলেন। স্যালুট করার সময়ে বাবার ছাতি যেন আরও চওড়া হল। গর্বে বুক ভরে উঠল। ভিতরে যেন আনন্দের অশ্রু বয়ে গেল।
আসলে সিন্ধু শর্মা পুলিশ সুপার হওয়ায় বাবা উমামহেশ্বরের সমপর্যায়েই তার র্যাংক। তারপরেও পদের কারণেই সিন্ধু শর্মার র্যাংক বাবার চেয়ে উঁচুতে। যে কারণে মেয়েকে স্যালুট দিতে হয়েছে বাবার।
বছর চারেক আগেই ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন সিন্ধু। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির জনসভায় ডিউটি পড়েছিল দুজনেরই। মেয়েদের দায়িত্বে ছিলেন সিন্ধু আর বাবা ছিলেন অন্য দায়িত্বে।
মেয়েকে স্যালুট দিয়ে গর্বিত বাবা বললেন, 'ডিউটি করার সময় এই প্রথমবার আমরা মুখোমুখি হলাম। আমি ভাগ্যবান যে আমি ওর সঙ্গে কাজ করছি। যখনই ওর সঙ্গে দেখা হয় অফিসে, তখন আমি স্যালুট করি। সে আমার সিনিয়র। অফিসে আমরা আমাদের মতো কাজ করি। তবে বাড়িতে আমরা আর দশটা সাধারণ বাবা-মেয়ের মতো। '
অন্যদিকে এমন ঘটনায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সিন্ধু। তবে বাবার সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভীষণ আনন্দিত এবং গর্বিত তিনি। সিন্ধু বলেছেন, 'আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। এক সঙ্গে কাজ করার একটা সুযোগ পাওয়া গেল। আমি খুব গর্বিত যে বাবার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। '