টয়লেট

শৌচাগার ছাড়া মলত্যাগ করা যাবেনা

ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন নবাবভূমিকে নির্মল করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর এ জন্য অবলম্বন করা হচ্ছে নিত্যনতুন কৌশল। শৌচাগার ছাড়া যাতে অন্য কোথাও কেউ ‘ইয়ে’ না করে সেই জন্য সাতসকালে মাঠেঘাটে ছুটছেন বিডিও, ওসি। তৈরি হয়েছে ছোট ছোট দল। মাঠে একটু আড়াল খুঁজে কেউ হয়তো সবে বসেছেন। তখনই সেই দলের ছেলেরা বাজিয়ে দিল হুইসেল!

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ‘এত কিছু করেও মাঠপ্রিয় লোকজনের স্বভাব বদলানো যাচ্ছিল না। বাড়িতে শৌচাগার আছে। তবুও তিনি সেখানে যাবেন না।’ প্রশাসনের তরফে ঠিক হল, প্রত্যন্ত গ্রামের লোকজনের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়ে তাদের ভাষাতেই সচেতন করতে হবে। তৈরি হল ফ্লেক্স, ফেস্টুন, লিফলেট। গ্রামে গ্রামে টাঙিয়ে দেওয়া হল সেই সব সতর্কবার্তা।

পরিষ্কার বাংলায় লিখে দেওয়া হল- খোলা জায়গায় ইয়ে করলে ১০০০ টাকা জরিমানা! মাড্ডার এক যুবক বলেন, ‘প্রশাসন তো এক দূষণ বন্ধ করতে গিয়ে এখন দৃশ্যদূষণ বাড়াচ্ছে।’ বেলডাঙার এক নারী বলেন, ‘ক’দিন পরেই পাত্রপক্ষ মেয়ে দেখতে আসবে। ভাবছি ওই দিনটার জন্য বাড়ির সামনের ওই পোস্টার কিছু দিয়ে ঢেকে দেব। ওদের চোখে এমন বিজ্ঞাপন পড়লে ওরা কী ভাববেন, বলুন তো!’

বহরপুরের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুগত সেন বলছেন, আরও অনেক ভাবে বিষয়টি বোঝানো যেত। এমন ভাষা প্রশাসন না ব্যবহার করলেই ভালো হত।’ বেলডাঙা ১ বিডিও শুভ্রাংশু মণ্ডল বলেন, ‘নানাভাবে সচেতন করেও মানুষকে পুরনো অভ্যাস থেকে সরিয়ে আনা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই ওই ভাষা ও ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

শেয়ার করুন: