জীবনে আমরা যখন বাধার সম্মুখীন হই তখন অল্পতে উদ্যম হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়ি। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দিই। কিন্তু গ্যাব্রিয়েল আমাদের মতো এত অল্পে ভেঙে পড়ার মানুষ নন। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের উপকণ্ঠে বেড়ে ওঠা বিশ বছর বয়সি যুবক গ্যাব্রিয়েল। মাতৃগর্ভ থেকেই জন্মেছিল দুটি হাতের কব্জি ছাড়া।
কিন্তু তার এই কব্জি না থাকা, কিংবা আশপাশের প্রতিকূল পরিবেশ কোনো কিছুই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সব বাধা, সব প্রতিকূলতা জয় করে গ্যাব্রিয়েল এখন বুয়েন্স আয়ার্সের নামি একটি সেলুনের মালিক।
যেহেতু জন্ম থেকেই গ্যাব্রিয়েলের হাতের কব্জি ছিল না, ফলে ছোট বেলা থেকে এমন কিছু করতে চাইতেন যেটাতে হাতের ব্যবহার আবশ্যিক। যেটা দেখে মানুষ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে। বলবে, হাতের কব্জি নেই তো কি হয়েছে?
সেই ভাবনা থেকে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে গ্যাব্রিয়েল তুলে নেন চুল কাটার মেশিন। এরপর একটু একটু করে নিজেকে পরিণত করেছেন একজন দক্ষ নাপিত হিসেবে।
এখন গোটা বুয়েন্স আয়ার্সের মানুষ তার দোকান এক নামে চেনে। দোকানের সামনে ভিড় লেগে যায় গ্রাহকদের। তারা তার কাছ থেকেই নিজেদের পরিপাটি করতে চায়। এছাড়া গ্যাব্রিয়েল আর্জেন্টিনা কোর্তা নামক একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে তরুণ নাপিতদের প্রশিক্ষণের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
শুধু চুল কাটার কাজ নয়। গত ছয় বছরে গ্যাব্রিয়েল শিখেছেন সাইকেল, মোটরসাইকেল এবং গাড়ি চালানোর মতো কাজ। যেটা হাত ছাড়া একেবারেই অসম্ভব।