বেশিদিন হয়নি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখেছেন জাতীয় দলের তরুণ ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। আর এ অল্প সময়ের ব্যবধানে মাঠের বাইরের ঘটনায় সবচেয়ে বেশিবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। বিশেষ করে বিতর্কের সঙ্গে তার নিয়মিত উঠা-বসা। মনে হতে পারে, দুই মিলিয়ে হাত ধরাধারি করে চলতেই তার পছন্দ।
সাব্বির সর্বশেষ দশর্ক পিটিয়ে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন। এছাড়াও তাকে জরিমানা গুণতে হয়েছে কয়েক কয়েক লাখ টাকা। বিসিবির ফান্ড ভারি করার দায়িত্বভার যেন তার কাঁধেই! এছাড়া রাতভর মেয়েদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাটিং, বাসায় মেয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা সতীর্থদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার অভিযোগ শুনতে শুনতে ক্লান্ত স্বয়ং বিসিবি।
আর তাকে বেজায় ক্ষুব্ধ দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই সব কিছুর মিশেলে এবার শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সাব্বিরের। অন্তত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্যে এরই আভাস মিলেছে, ‘আমরা বার বার বলে আসছি সবাইকে ভালো হওয়ার জন্য।
কারণ ক্রিকেটারেরা জাতির ‘আইডল’। সে (সাব্বির) যদি বিরত না হয় তাহলে আমাদেরকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমার কাছে একটাই। সেটি হল জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া। সে জাতীয় দলে খেলতে পারবে না। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাদ দেয়ার থেকে আর বেশি কি করতে পারবো আমরা? আর আমরা তো কাউকে জেলেও দিতে পারবো না।’
এদিকে গতবছর ঘরোয়া ক্রিকেট বাংলাদেশে আসা পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিকের স্ত্রীকে পর্যন্ত ইভটিজিয়ের অভিযোগ ওঠে সাব্বিরের বিরুদ্ধে।লিগে খেলা চলাকালীন গ্যালারি থাকা সানিয়া মির্জাকে ইভটিজিং করেন সাব্বির রহমান। আর এ নিয়ে বেজায় চটে যান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। সরাসরি অভিযোগ করেন সিসিডিএম চেয়ারম্যানের কাছে। জানান স্ত্রীকে টিজ করার বিষয়টি।
প্রসঙ্গত, শৃঙ্খলভঙ্গের অভিযোগের সঙ্গে অবশেষে সেই (সানিয়া মির্জার বিষয়) ফাইলও এসেছে বিসিবির হাতে। এখন দেখার বিষয় এসব ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি।