বাবা হারুন উর রশিদের কোলে কাফনে মোড়ানো নিথর শিশু আকিফা। চিরদিনের জন্য সন্তানকে হারিয়ে পাশেই নির্বাক মা রিনা খাতুন। ‘আমার সোনামুনিরে তোমরা বাঁচতে দিলে না। আমার মা আর বাবা বলে ডাকবে না। ওকে ছাঁড়া আমি কিভাবে বাঁচবো।’
এভাবেই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আকিফার মরদেহ নিয়ে তার বাবা-মা অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে আহাজারি করতে থাকে। তারপর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার পথে রওনা দেন।
দুইদিন মৃতুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেল কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আহত এক বছরের শিশু আফিফা।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার মা রাস্তা পার হওয়ার সময় কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় অনেকটা ইচ্ছে করেই যাত্রীবাহী একটি বাস দিয়ে পথচারী মা মেয়েকে ধাক্কা দেয় বাস চালক।
এতে মা রিনা বেগম ও শিশু আফিফা গুরুতর আহত হয়। নিহত শিশু আফিফা কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকার সবজি ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদের মেয়ে।