বিশ্বে প্রতিনিয়ত অবাক করার মত ঘটনা ঘটে যা সবািইকে তাক লাগিয়ে দেয়। এমনি একটি অবাক করার মত ঘটনা ঘটল সৌদি আরবে।জানা গেছেইসলাম ধর্মের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে হজ হচ্ছে পঞ্চম স্তম্ভ।এটি যাদের ওপর ফরজ হয়েছে তারাই করে থাকেন ।
পবিত্র হজ শুধু একটি ধর্মীয় ইবাদত নয়, এটি বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মুসলিমের এক অপূর্ব মিলনমেলাও বটে। এ মিলনমেলায় ঘটে যায় এমনসব ঘটনা, যা শুনলেও মন ভরে ওঠে অন্য রকম আনন্দে।
তেমনি আনন্দদায়ক ঘটনা এবারও ঘটল। পবিত্র হজপালন করতে এসে দীর্ঘ ১৪ বছর পর দেখা হলো- ভাইবোনের। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর দমন পীড়ন থেকে বাঁচতে আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে পরিবারের সঙ্গে ফিলিস্তিনি ছেড়ে লেবানন চলে গিয়েছিলেন দুই ভাইবোন মুসা ও লতিফা। ভাইটির বয়স তখন দুই বছর মাত্র।
এ সময় লতিফা চলে যান মিসর। তারপর মাঝে একবার দেখেছিলেন ভাইকে। এর পর দেখা হয়নি। আর এবার সৌদি বাদশার বদান্যতায় ফিরে পেলেন ভাইকে। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে ভাইকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাদশাহ সালমান ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের হজের ব্যবস্থা করেন। এই কর্মসূচির আওতায় ফিলিস্তিনি এই দুই ভাইবোন হজে আসার সুযোগ পান। আর সেখানেই তাদের দেখা হয়। হজের আগের দিন তাদের সাক্ষাত হয়। অভূতপূর্ব এ ঘটনায় উপস্থিত লোকেরাও আনন্দে কেঁদে ফেলেন।
পরে স্থানীয় হজ অফিসে দুই ভাইবোনের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ওই অনুষ্ঠানে তারা স্মৃতিচারণ করেন। উঠে আসে তাদের পরিবারের কথা, হজের আসার কথা।
ভাই মুসা জানান, আমি লেবানন সরকারের বদান্যতায় সৌদি সরকারের আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম যুক্ত করতে সক্ষম হই। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আমার হজপালনের কথা ছিলো গত বছর।
কিন্তু সেবার আমি অসুস্থ হওয়ার কারণে, হজে আসতে পারিনি। এবার আমি পুনরায় সুযোগ পাই। আসলে এটা আল্লাহর বিশেষ রহমত।পরে দুই ভাইবোন মিলে তাওয়াফ করেন।
উল্লেখ্য, এ বছর ৯৪টি দেশের প্রায় ৫ হাজার তিনশ জনকে সৌদি বাদশাহ ব্যক্তিগত ব্যবস্থায় হজ পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন। তারা সৌদি সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজপালন করেন।প্রতি বছর সৌদি বাদসা এ ব্যাবস্থা করেন।