ফেসবুক মেসেঞ্জার

ফেসবুকে কোনটা আসল আর কোনটা ‘ফেক’ অ্যাকাউন্ট?

২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ফেসবুক ছাড়া এখন আর কেউ ভাবতেই পারে না৷ কিন্তু ফেসবুকে রয়েছে অসংখ্য ফেক প্রোফাইল৷ এ কারণে চ্যাটিংয়ে রয়েছে বেশ কিছু বিপদও।

এখন প্রশ্ন আসতেই পারে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা বন্ধুর প্রোফাইলটি আসল না নকল? সেটা বোঝাটাও একটা কঠিন বিষয়৷ তবে বেশ কিছু উপায় রয়েছে, ফেক প্রোফাইল বোঝার৷ সেগুলো কী দেখে নিন একবার:

প্রোফাইল পিকচার: বেশ কিছু ছবি আছে যা অনেক ফেক আইডিতেই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ সেগুলো একটু ভাল করে দেখলেই বোঝা সম্ভব৷ সেসব ছবি যদি ব্যবহার হয়, তাহলে বুঝবেন ওই আইডি ফেক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ফ্রেন্ডলিস্ট: কারোর ফ্রেন্ডলিস্ট দেখাটা এখন সবক্ষেত্রে সম্ভব হয় না৷ কারণ অনেকেই নিজের ফ্রেন্ডলিস্ট পাবলিক করে রাখেন না৷ কিন্তু যদি থাকে, সেক্ষেত্রে দেখে নিন বন্ধুরা কারা৷

কারোর সঙ্গে আপনার মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে কী না৷ যদি আছে তাহলে সেই মিউচুয়াল ফ্রেন্ড কেমন ব্যক্তি৷ এমনকী, নতুন বন্ধু সম্পর্কে সেই মিউচুয়াল ফ্রেন্ডকেও জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন৷ মেয়েদের ক্ষেত্রে তাদের ফ্রেন্ডলিস্টে যদি ৩-৪ হাজার বন্ধু থাকে৷ তাহলেও সেটা অনেক সময় ফেক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷

খারাপ ছবি: আইডিতে যদি কোনও কুরুচিকর বা পর্ন ছবি থাকে৷ তাহলে সেই আইডি ফেক হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল৷ কারণ কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তিই চাইবেন না নিজের প্রোফাইলে এই ধরণের ছবি রাখতে৷

পেজ লাইক: আপনার সন্দেহের আইডিটি কী ধরনের পেজে লাইক দিয়েছে সেটা তার রিসেন্ট অ্যাক্টিভিটি দেখলেই স্পষ্ট হবে৷ ফেক আইডিতে বেশ কিছু অ্যাডাল্ট সাইটের পেজে লাইক আপনি পাবেনই পাবেন৷

মোবাইল নম্বর: কোনও মেয়ের আইডিতে যদি দেখা যায় তাতে এক বা একাধিক মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে, তাহলে বুঝতে হবে সেই আইডিটা ফেক। কারণ কোনও নারী ফেসবুকে তার নম্বর পাবলিক করে রাখেন না। দিলেও সেটা ‘অনলি মি’ করে রাখেন যাতে কেউ দেখতে না পারে।

শেয়ার করুন: