শান্তিবালা দাস। বয়স ৮৪ বছর। দরিদ্র জীবনটা বয়ে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। নিঃসঙ্গ জীবনে অর্থ কষ্টে ছিলেন। পেতেন সামান্য সরকারি ভাতা। তাও বন্ধ এখন। কারণ সরকারি নথি পত্রে এই মানুষটি মৃত। তাই বন্ধ হয়ে গেছে সরকারি ভাতাও। কিন্তু তিনি যে মরেননি তার প্রমাণ করতে নিজেই ঘুরে বেড়িয়েছেন দ্বারে দ্বারে। জনে জনে গিয়ে বলেছেন আমি বেঁচে আছি। গিয়েছেন পঞ্চায়েত ও ব্লক অফিসেও। কিন্তু গত চার মাস ধরে ঘুরেও নিজেকে জীবিত করতে পারেননি সরকারি খাতায়। সেখানে এখনো মৃত শান্তিবালা দাস।
এতোদিনেও নিজেকে জীবিতের তালিকায় উঠাতে না পেরে হতাশ হয়ে পরেছেন এই বৃদ্ধা। হতাশ হয়ে শান্তি বালা বলেন, ‘আমাকে কি মরে প্রমাণ করতে হবে যে, আমি মরিনি!’ পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট শহর লাগোয়া চকভৃগু গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার আত্রেয়ীর সেতুর বাঁধের ধারে ঝুপড়ি ঘরে একাই থাকেন নিঃসন্তান ওই বৃদ্ধা। প্রায় দশ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি একা।
তাই মাসিক ৫০০ টাকার বয়স্কভাতাই ছিলো তার খাদ্য সংস্থানের একমাত্র উপায়। সেটা আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অর্ধাহারেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি। কখনও কখনও ভিক্ষেও করতে হচ্ছে। দ্বারে দ্বারে ঘুরে এখনো নাম উঠাতে না পারলেও নজরে আসতে পেরেছেন প্রশাসনের। বিডিও সুস্মিতা সুব্বা বলেন, ‘ভুলবশত কোনো কারণে তালিকায় বৃদ্ধার নামের পাশে মৃত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এপ্রিলের পর থেকে শান্তিবালাদেবী বার্ধক্যভাতা পাননি। নথি সংশোধন করে ভাতা চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’