ভারত

জাতীয় পতাকা ছেড়া সেই ‘পাক্কা মুসলমান’ আসলে হিন্দু

নিজেকে ‘পাক্কা মুসলমান’ দাবি করে ভারতীয় জাতীয় পতাকা ছেড়া সেই কিশোর আসলে হিন্দু বলে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে। এই কিশোর গুজরাটের সুরাত এলাকার বাসিন্দা। ভারতের ৭২তম স্বাধীনতা দিবসের পর রোহিত সারদানা নামের এক ভারতীয়র অনুমিশ্র বিজেপি নামক টুইটার হ্যান্ডলে সর্বপ্রথম পোস্ট হয় ওই সাম্প্রদায়িক ভিডিওটি। তার সেই অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার রয়েছেন কয়েকজন বিজেপি নেতাও।

টুইটারে ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। প্রায় ২০ হাজার রিটুইটে নানা রকম জাতি হিংসামূলক মন্তব্য করেন অনেক ভারতীয়রা। ভিডিওটিকে শেয়ার করে ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যও দেন অনেকে। দুটি ভিডিওর মধ্যে প্রথমটিতে দেখা যায়, ‘পাক্কা মুসলমান হুঁ’ বলতে বলতে জাতীয় পতাকা ছিঁড়ছে এক কিশোর। ঠিক এর কয়েকদিন পর সুরেশ চাভাঙ্ক নামের এক ভারতীয় টিভি মিডিয়াকর্মীর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট হয় আরেকটি ভিডিও।

সেখানে দেখা যায়, নিজেকে পাক্কা মুসলমান বলে ভারতের পতাকা ছেঁড়া সেই কিশোরকে মারধর করছেন কয়েকজন যুবক। শুধু তাই নয় তাকে দিয়ে বলপূর্বক ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দেয়া হচ্ছে এবং ‘আমি পাক্কা হিন্দু’ বলানো হচ্ছে। এই দুটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ভারতের আনন্দবাজার তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজেকে পাক্কা মুসলিম দাবি করলেও ওই কিশোর আসলে হিন্দু। তার আসল পরিচয় উঠে আসে পুলিশি তদন্তে। সে গুজরাটের সুরাত এলাকার বাসিন্দা।

ভিডিও দুটি নিয়ে শোরগোলের পরই বিষয়টি পুলিশকে জানান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ ওই কিশোরসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা যায়, ওই কিশোর আসলে হিন্দু।

ওই কিশোর ছোটখাট অনুষ্ঠানে কৌতুকাভিনয়ও করে। ওই ভিডিওটি তারা মজার ছলেই করেছিল বলে জানায় ধৃত দুই কিশোর। পুলিশ দুজনকেই সাবধান করে ছেড়ে দেয়। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই দুই কিশোরের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

শেয়ার করুন: