বিভিন্ন সময়ে শিরোনামে উঠে আসে হিংসা বা ধর্মান্তকরণের খবর। অথচ সেদেশেই সম্প্রীতি আর সম্মানের নজির গড়ে কেউ কেউ। অন্য ধর্মকে কীভাবে সম্মান দিতে হয়, সেটাই শেখাল ভারতের কেরালার এক মুসলিম পরিবার।
হিন্দু পরিবারের মেয়ে মঞ্জুকে ছোটবেলাতেই দত্তক নিয়েছিল কেরালার মুসলিম দম্পতি মজিদ ও রামাল। সেই মেয়ে বড় হয় মুসলিম পরিবারেই। কিন্তু, ধর্মপালনে কোনোদিন কোনও অসুবিধা হয়নি তার। কোনোদিন ধর্ম পরিবর্তনের চাপও দেওয়া হয়নি। হিন্দুমতেই বরাবর দেবতার পুজো করেছে মঞ্জু। একইসঙ্গে মজিদের আরও তিন সন্তান জুনেদ, সুলিকা ও সুমিয়ার সঙ্গে বড় হয়েছে মঞ্জু। নিজের বোন ছাড়া আর কিছু ভাবা হয়নি তাকে।
ধর্মপালন থেকে পড়াশোনা, কোনোকিছুতেই খামতি রাখেনি মঞ্জুর এই বাবা-মা। বড় হওয়ার পর সেই মেয়ের জন্য যোগ্য পাত্রও খুঁজে বের করেছেন তাঁরা। সম্প্রতি সুব্রহ্মণ্য নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে গেল মঞ্জুর। বিয়ে হল হিন্দু রীতি মেনেই। মন্দিরে গিয়ে শুদ্ধ রীতি মেনে বিয়ে দিল মঞ্জুর মুসলিম বাবা-মা ও ভাইবোনেরা। তবে কেরালার বন্যার জন্য মেয়ের বিয়ে ধুমধাম করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তাঁরা।
কয়েকদিন আগে ইদের দিন মন্দিরে মুসলিমদের নামাজ পড়তে দেওয়ার ব্যবস্থা হয় এই কেরালাতেই। মসজিদ পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় কোথায় প্রার্থনা করবেন সেটাই বুঝতে পারছিলেন না মুসলিমরা। তাই তাঁদের জন্য খুলে দেওয়া হল মন্দির। মুসলিমদের কোরবানির উৎসবে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত তৈরি হল। ইদের নমাজের জন্য মুসলিমদের নিয়ে যাওয়া হয় মালার পুরাপ্পিল্লিকাভু রক্তেশ্বরী মন্দিরে।