স্প্যানিশ লিগ কর্তৃপক্ষের হলোটা কী! এই মৌসুমে একের পর এক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তারা। প্রথমে স্প্যানিশ সুপার কাপ মরক্কোতে আয়োজন করে খেপিয়ে দিল বার্সেলোনা ও সেভিয়া সমর্থকদের। এরপর খবর এল, সার্কভুক্ত আটটি দেশে লা লিগা সম্প্রচার হবে কেবল ফেসবুকে। যে খবরে এখনো ক্ষিপ্ত লা লিগার এই অঞ্চলের দর্শকেরা। ওদিকে পুরো লিগের খেলোয়াড়দেরও এমন খেপান খেপানো হয়েছে; ফুটবলারদের সংগঠন হুমকি দিয়ে বসে আছে, ধর্মঘট ডাকা হবে। বয়কট করা হবে লিগ।
খেলোয়াড়দের আপত্তির কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত। এ বছর লা লিগা নিজেদের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাগুলো সব ঝেড়েঝুড়ে দেখতে চাইছে। এ কারণে লিগের একটি ম্যাচ পরীক্ষামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজন করতে চায় তারা। যুক্তরাষ্ট্রে ফুটবলের জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বাড়ছে। এর অন্যতম বড় কারণ, প্রবাসীদের আধিপত্য আর খেলাটার প্রতি তাদের ভালোবাসা। লা লিগাও এই জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে চায়।
পরীক্ষামূলকভাবে এই মৌসুমেই লিগের একটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে হবে। পরের মৌসুম থেকে ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে। এই মৌসুমের সম্ভাব্য ক্লাবটি বার্সেলোনা অথবা রিয়াল মাদ্রিদ হওয়ার কথা। তবে এখনই এ নিয়ে সরব স্প্যানিশ ফুটবলারদের সংগঠন (এএফই)। এএফইর প্রধান ডেভিড আগানজো বলেছেন, খেলোয়াড়দের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়, এমন সিদ্ধান্ত লিগ কর্তৃপক্ষকে নিতে দেবেন না তাঁরা।
বেশ কয়েকটি ক্লাবের অধিনায়কদের নিয়ে বসেছিল এএফই। তাতেই লিগ কর্তৃপক্ষ খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সেখানেই আলোচনা, প্রয়োজনে খেলোয়াড়েরা ধর্মঘটে যাবেন। তবে এএফই আশা করে, পরিস্থিতি এতটা খারাপ হবে না। এর আগেই লিগ কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেবে।
খেলোয়াড়েরা লা লিগার গত কয়েক বছরের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েই নাখোশ। স্প্যানিশ ক্লাবে সৌদি আরবের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা ভেবে সৌদি খেলোয়াড়দের লিগে নিয়ে আসা, স্পেনের প্রথম কর্মদিবস সোমবারে একাধিক ম্যাচ আয়োজনসহ আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ভালো চোখে নেননি খেলোয়াড়েরা। সমর্থকেরাও খেপেছেন। আগানজো বলেছেন, অনেক হয়েছে, আর না।
যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাচ আয়োজন করা হলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা এএফইর। খেলোয়াড়দের বাড়তি ভ্রমণ, স্পেনের জন্য অসুবিধাজনক সময়ে ম্যাচ সম্প্রচার, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ স্টেডিয়ামের বদলে টিভি দেখে তৃপ্ত থাকা...এই বিষয়গুলো নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তারা।
আগামী মাসে লা লিগার প্রধান হাভিয়ের তেবাসের সঙ্গে বৈঠক আছে এএফইর। বিষয়টি নিয়ে আগানজো স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন আর জাতীয় ক্রীড়া কাউন্সিলের সঙ্গেও বসবেন।