কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বজনরা ঈদের দিন দেখা করার সুযোগ পান। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে বুধবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তারা। তবে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলেও বাসা থেকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আনা খাবার ভেতরে নিতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তার বোন সেলিনা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,
খালেদা জিয়া শারীরিক ভাবে সুস্থ নন। তিনি তাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বাইরে এসে তিনি আরও বলেন, ‘তারা অনুমতি নিয়েই খালেদা জিয়ার জন্য বাসা থেকে খাবার নিয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেননি।’
‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। বাসার খাবার নিতে না দেয়ায় ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত তিনি কিছু খাননি।’ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের পছন্দের খাবারগুলোই বাসা থেকে রান্না করে নেয়া হয়েছিল। বুধবার (২২ আগস্ট) বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন তারা।
কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেয়ে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে তার পরিবারের ছয় সদস্য কারাগারে ঢোকেন। এর আগে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে কারাফটকে অপেক্ষা করেন তারা। প্রথমে খালেদা জিয়া স্বজনদের ২০ জনের একটি তালিকা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া হলেও ভেতরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন ছয়জন। বাকিরা কারাফটক থেকেই ফিরে যান।
কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তার মেয়ে জাফিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম, ভাই সাঈদ এস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু।
সূত্র জানায়, সাক্ষাতে খালেদা জিয়া বোন, ভাবি ও স্বজনদের বুকে জড়িয়ে নিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি স্বজনদের নাম ধরে ধরে সবার খোঁজ-খবর নেন। জানতে চান পরিবার ও স্বজনদের শিশুরা কেমন আছে, ঈদ কেমন কাটছে।