‘গুপ্তধন’ সন্ধান করা মিরপুরের সেই বাড়ির সর্বশেষ খবর জানুন!

মিরপুরের সেই বাড়ির- মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওই বাড়ির মালিক মনিরুল আলম একজন ব্যবসায়ী। তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রায় আট বছর আগে টিনশেড বাড়িটি কেনেন।

এরপর থেকে একজন ‘কেয়ারটেকারের’ মাধ্যমে বাড়ির সাতটি কক্ষই ভাড়া দিয়েছিলেন। সেখানে নতুন করে ভবন নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ভাড়াটিয়াদের বিদায় করে দেন মনিরুল। “কিছু দিন ধরে বাড়িটি ফাঁকাই ছিল।

গত ১২ জুলাই রাতে আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তিসহ দুইজন বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে কেয়ারটেকার তাদের বাধা দেয়। তখন তারা তাকে আর্থিক প্রলোভন দেখায়। বলে, এখানে গুপ্তধন আছে।

তাদের গোপনে সুযোগ করে দিলে তার ভাগও তাকে দেওয়া হবে,” বলেন তিনি। সেই বাড়িতে কথিত গুপ্তধনের কোনো সন্ধান মেলেনি। নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে গত ২১ জুলাই শুরু হওয়া গুপ্তধনের খোঁজ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর ১০’এর সি-ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাড়িটিতে গুপ্তধন সন্ধানের অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে ঢাকা জেলা প্রশাসন। সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয় পুলিশি পাহারাও। সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির সামনে স্তূপ করে রাখা মাটি শ্রমিকরা ভেতরে নিয়ে ফেলছেন। বাড়ির ভেতরের দুটি কক্ষ ভরাট করার কাজ চলছে।

‘গুপ্তধন’ সন্ধান করা মিরপুরের সেই বাড়ির সর্বশেষ খবর জানুন!

ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজওয়ার আকরাম বলেন, ‘আমরা ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ও বুয়েটের এক্সপার্ট এনে ওই বাড়ির ভেতরে জিপিআর স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সেখানে কোনো ধাতব বা গুপ্তধনের অস্তিত্ব না পাওয়ায় অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আরিফুর রহমান সরদার জানান, অনেক অনুসন্ধানের পরও মিরপুরের ওই বাড়িতে কোনো গুপ্তধন পায়নি সংশ্লিষ্টরা। তাই প্রশাসনের নির্দেশে সেখান থেকে পুলিশি পাহারা তুলে নেওয়া হয়েছে।

গত ২১ জুলাই থেকে ওই বাড়িতে গুপ্তধনের খোঁজে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। বাড়িটির মাটির নিচে কমপক্ষে দুই মণ স্বর্ণালঙ্কার থাকার দাবি ওঠায় ওই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে শুরু হয় এই অভিযান।২০ জন শ্রমিকের সহায়তায় ছয় ঘণ্টা ধরে সাড়ে চার ফুট খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়।

এতে বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর দুর্বল হওয়ায় ওইদিন খোঁড়াখুঁড়ি স্থগিত করে দেওয়া হয়।এরপর ফের ২২ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এর আগে গত ১০ জুলাই মোহাম্মদ আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

১২ জুলাই রাতে কয়েকজন লোক বাড়ির ভেতরে গুপ্তধন আছে বলে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন-এই মর্মে ১৪ জুলাই বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলাম থানায় একটি জিডি করেন। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বাড়িটিতে খননের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

শেয়ার করুন: