মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং আরেক নেতা শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের পুত্র তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনৈতিকভাবে অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। স্ত্রীর মৃত্যুর পর রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন সৈয়দ আশরাফ।
বিভিন্ন সূত্রে তার অসুস্থতার খবরও শোনা গেছে। অপরদিকে, সোহেল তাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হলেও দলীয় সভা-সমাবেশে তাকে দেখা যায় না বহুদিন, শিগগিরই ফিরবেন তারও কোন নিশ্চয়তা নেই।
রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত থাকলেও এই দুই নেতার জনপ্রিয়তায় যে একটু ভাঁটা পড়েনি তা বোঝা গেল সোহেল তাজের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসেই। শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাতে দেওয়া স্ট্যাটাসে একটি ছবিসহ সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আশরাফ ভাই, আপনাকে অনেক মিস করি’।
তার স্ট্যাটাসটি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টে কমেন্ট করেছেন অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী। তাদের দু’জনকেই আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন অনেকেই।
গত বছরের শেষের দিকে মারা যান জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফের স্ত্রী শিলা ইসলাম। এ ঘটনায় মনোবল হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েন সৈয়দ আশরাফ।
‘আশরাফ ভাই, আপনাকে অনেক মিস করি’ সোহেল তাজ
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় বেশ কিছুদিন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন তিনি। এসময় বিভিন্ন সূত্রে তার অসুস্থতার খবরও প্রকাশিত হয়।
জানা যায়, বর্তমানে তিনি শারীরিক ভাবে সুস্থ আছেন। একারণে তার সমর্থকদের আশা, দ্রুতই আবার আগের মতো রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন সৈয়দ আশরাফ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। কিন্তু কিছুদিন পরই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি প্রথমে পদত্যাগ করেন মন্ত্রিত্ব থেকে, তারপর সংসদ সদস্য পদ থেকেও।
এরপর চলে যান সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকেই ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে। কিছুদিন আগে ঘোষণা দিয়েছেন, দেশে ফিরে নতুন সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক কাজে নিয়োজিত হবেন।
এদিকে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও সোহেল তাজের সম্পর্ক শুধু রাজনৈতিক নয়। তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত যোগাযোগও রয়েছে। বছর দু’য়েক আগে সৈয়দ আশরাফের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন সোহেল তাজ।
শুক্রবার দেওয়া স্ট্যাটাসের ছবিটিও সেদিনেরই।মাত্র চার মাস পরেই জাতীয় নির্বাচন। একারণে সোহেল তাজের এই স্ট্যাটাস নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। নির্বাচনের আগে তারা আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হবেন কি না-এমন প্রশ্ন বিশ্লেষকদের মনে।