আমি রাজনীতি করি না, করতেও চাইনা : সোহেল তাজ

তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন এর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ মঙ্গলবার ভোরে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেইজে একটি পোস্ট দেন। যেখানে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমদ-এর হাতে গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ তার জন্ম লগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে

স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন করেছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। পরবর্তীতে একই ধারায় আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে।

পোস্টটিতে তিনি একাধিকবার সম্পাদনা করেন। আর এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা বয়ে যায়। আর সমালোনা অংশটুকুর জবাব দিয়েছেন সোহেল তাজ।

বুধবার ফেসবুকে তিনি 'লাইফ লেসন' শিরোনামে একটি লেখা পোস্ট করেন। এই পোস্টে তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি না করতেও চাইনা- তাই আমি থোৱাই কেয়ার করি কে খুশি হলো আর কে খুশি হলো না।

যেখানে বলেন, যদি কোনও ব্যক্তি আন্তরিক ভাবে সবার ভালোর জন্য অপ্রিয় সত্য কথা বলে তাহলে তাকে সবাই মিলে বুঝে না বুঝে তাদের পানচিং ব্যাগ বানিয়ে ফেলে I Where ignorance is bliss, ‘tis folly to be wise.

বোকার রাজ্যে ভাল কিছু বলার চেষ্টা করা হচ্ছে সবচে বড়ো বোকামি I সবার কাছে মাফ চেয়ে সবার জন্য শুভ কামনা ও শুভেচ্ছা।

প্রসঙ্গতঃ আমি আমার সব পোস্টই কম বেশি এডিট করি- যদি বানানে ভুল থাকে বা যদি কিছু অ্যাড করতে হয় I তাছাড়া আমি আমার পেইজে যা খুশি পোস্ট করব আর যখন খুশি এডিট করব তার জন্য আমার কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে না I কে কখন শেয়ার করল বা অখুশি হল সেটা আমার দেখার বিষয় নাI

এছাড়াও এডিট পয়েন্ট উল্লেখ করে তিনি কয়েকটি নোট লিখেন। যেগুলো হলো-

এডিট: আমি রাজনীতি করি না করতেও চাইনা- তাই আমি থোৱাই কেয়ার করি কে খুশি হলো আর কে খুশি হলো না।

এডিট: বাপ্ দেশ স্বাধীন করে জীবন দিল আর মা আওয়ামী লীগকে নতুন জীবন দিল আর অনেকে আমাকে আওয়ামী লীগ শিখাতে আসছেন? সাবধান- সূর্যের চে বালুর তাপ বেশি হলে তা কার জন্য মঙ্গল আনবে না।

এডিট: আর যারা পল্টি পল্টি বলে মুখে ফেনা তুলছেন- একটু আয়নায় তাকান- আপনাদের সময় যে কি তাণ্ডব হয়েছিল সেটার আমি নিজে সাক্ষী I বোমাবাজি, ধর্ষণ, গুম, বিনা বিচারে হত্যা করা, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা, কিবরিয়া, আহসানুল্লাহ সহ শত শত হত্যাকাণ্ড।

এডিট: নতুন নতুন আইন তৈরি করে লাখ লাখ মানুষকে মিথ্যে মামলায় ফেলা।

শেয়ার করুন: