শিক্ষার্থীদের খাবার দিচ্ছে কারা?

সারাদেশে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত রোববার থেকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে পারে এমন আশঙ্কা ছিল আওয়ামী লীগের নেতাদের আগে থেকেই। এ আন্দোলনে কিছু পরিচয়হীন লোক সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে খাবার দিচ্ছে।

শনিবার শাহবাগ চত্বরে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, সেন্টাল উইমেন্স কলেজ, হাবিবুল্লাহ বাহার স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা সরকারি উদ্দান কলজেসহ অন্যান্য স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে তারা বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র চেক করে। অন্য একদল শিক্ষার্থীরা রাস্তার মধ্যে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছে।

আর এ আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে কিছু যুবক , কিছু ছাত্র, বৃদ্ধ, এবং কিছু নারী তাদেরকে খাবার দিতে দেখা গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নছিল এরা করা? কেউ বলেন, জানিনা ,আবার কেউ বলেন, আমাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে, কেউ বলেন, আমাদের বড়ভাই, কেউ আমাদের শুভকাঙ্খী বলে তারা জানান।

বার বার একই প্রশ্নছিল আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে কিন্তু কেউ সঠিক ভাবে উত্তর দিতে পারেনি। কিন্তু এরা করা যে সাধারণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খাবার দিচ্ছে? কেউ দিয়ে যাচ্ছে বিস্কেুট, কেউ পানি,কেউ রুটি, কেউ আবার কলা, সিঙ্গারা, আর বলে যাচ্ছে তোমরা আন্দোলন চালিয়ে যাও আমরা আছি।

কেউ আবার আরো উচ্চস্বরে স্লোগান দেয়ার জন্য দিচ্ছেন হ্যান্ড মাইক। যে যা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা তাই নিচ্ছে কিন্তু কোনো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলতে সক্ষম না কারা দিচ্ছে এ খাবার এবং মাইক।

হাবিবুল্লাহ বাহার স্কুল এন্ড কলেজ এবং অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন আমরা নিজের টাকা দিয়ে এসব খাবার কিনে এনেছি। কিন্তু সরকারি উদ্দান কলজের শিক্ষার্থী সজল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের বড় ভাই কিছু খাবার এবং মাইক কিনে দিয়েছে এরা আমাদের বড় ভাই।

খাবার দেয়া এক যুবক কে তার জিজ্ঞাসা করলে নাম তিনি এ প্রতিবেদকের সাথে খারাপ আচারণ করেন। অন্য এক নারী শিক্ষার্থীদের বিস্কুট, সিঙ্গরা দিতে এল তার নাম জিজ্ঞাসা করলে তিনি এড়িয়ে যেতে চান। পরে অনেক গড়িমসি করে বলেন, আমি বারডেম হাসপাতালের নার্সদের সুপারভাইজার। একথা বলে দ্রুত চলে যান অন্যদিকে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার রাজধানীর কুর্মিটোলায় উড়াল সেতুর ঢালে রাস্তার পাশে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ওপর বাস তুলে দেয় জাবালে নূর পরিবহনের চালক। এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও নয়জন আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ওই ঘটনার প্রতিবাদে প্রথমে রাস্তায় নামে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজধানীসহ সারাদেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গতসাতদিন ধরেই তারা রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়ে তাদের দাবি পক্ষে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

শেয়ার করুন: