রাজারবাগ ও মিরপুর পুলিশ লাইনে হামলাকারিরা শনাক্ত

একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার নাশকতা চালাতে তৎপর উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, একটি পক্ষ চাইছে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যেন সরকার বেকায়দায় পড়ে। কিন্তু আমাদের পুলিশ বাহিনী তা সফল হতে দেবে না। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নাশকতামূলক কিছু করতে স্কুল ড্রেস সরবরাহ করছে। অনেক বহিরাগত স্কুল পোশাকে ঢুকে পড়ছে। কিছু লোক আন্দোলনকারীদের রাস্তায় খাবার সরবরাহ করছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে, অন্যদের চেষ্টা চলছে।

কমিশনার বলেন, রাজারবাগ ও মিরপুর পুলিশ লাইনে হামলা করা হয়েছে। যার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। চাকরির ৩১ বছরের জীবনে কখনো তিনি এমন ঘটনা দেখেননি।

এছাড়াও পল্লবী থানায় হামলা চালানো হয়েছে। পল্লবী থানার অপারেশন অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে একজন সার্জেন্ট এর মোটর বাইক পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

পাশাপাশি তার মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রবাড়ীতে একজন পুলিশ সার্জেন্টকে মেরে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

তিনি মনে করেন, শিক্ষার্থীরা এ ধরনের হামলা করতে পারেনা। অনুপ্রবেশকারিরা ঘটনা ঘটিয়ে পুলিশকে উস্কানি দিচ্ছে। এরপরও পুলিশ ধৈর্য ধারণ করে দায়িত্ব পালন করেছে।

ছাত্রদের রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন চেকিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এটার ভাল দিকও যেমন রয়েছে খারাপ দিকও রয়েছে। ইতিমধ্যে নগরে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

একটা অব্যবস্থাপনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন বন্ধ থাকায় শাক শবজি ঢাকায় আসতে পারছেনা। দ্রব্যমুল্য বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা যে অভিপ্রায় নিয়ে মাঠে নেমেছে আমরা তাদের স্যালুট করি।

শেয়ার করুন: