নাম দিয়ে কি হবে, ‘আমি সবার মা’

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ৯ দফা দাবিতে সপ্তম দিনের মত আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখছে। তবে তারা কোথাও সড়ক অবরোধ করেনি।

সকাল ১০টা থেকে দনিয়া, মিরপুর, জুরাইন, শাহবাগ, সাইন্সল্যাব, আসাদগেট, ফার্মগেট ও উত্তরায় জড়ো হয়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন। পাশাপাশি ফুটওভার ব্রিজ ও ফুটপাথ ব্যবহারে লোকজনকে উৎসাহিত করছেন। গাড়ির লাইসেন্সও পরীক্ষা করছেন। এতে পুলিশও তাদের সহায়তা করছেন।

সকাল থেকে সেখানে উপস্থিত আছেন অনেকের অভিভাবক। অনেকের অভিভাবক ফুটওভার ব্রিজের ওপরে ওঠে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা দেখছেন। এক অভিভাবক শিক্ষার্থীদের জন্য সিংগারা নিয়ে এসেছেন। সবাইকে ডেকে ডেকে সিংগারা দিচ্ছেন। বোতলে পানি ভরে আনছেন, শিক্ষার্থীদের পানি খাওয়াচ্ছেন।

পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, নাম দিয়ে কি হবে ‘আমি সবার মা।’ ওই নারী তার নাম না বললেও ইস্কাটনে থাকেন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে কাগজপত্র না থাকায় পুলিশের রিকুইজেশন করা ‘সুপ্রভাত স্পেশাল’ পরিবহনের একটি বাসও (ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৪-২৮৬৫) ফিরিয়ে দিয়েছে শিক্ষাথীরা। একই কারণে ‘সংবাদপপত্র’ লেখা গাড়ির (ঢাকা মেট্রো চ-১৩-২০৯৯) চাবি নিয়ে নেয়া হয়েছে।

এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে পুলিশে সোপর্দ হয়। লাইসেন্স ও কাগজের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মোট ১৭০০ টাকার মামলা দেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাস বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়।

এতে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম মিম নিহত হয়।

এ ঘটনায় মিমের বাবা জাহাঙ্গীর ফকির রোববার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।

শেয়ার করুন: