রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ছিল প্রতিবাদে সোচ্চার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টেলিভিশন শিল্পীরা গতকাল পথে নেমেছেন। একাত্মতা ঘোষণা করে নিরাপদ সড়ক চেয়ে র্যালিও করেছেন তারা।
আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকাতেও অভিনয় শিল্পীরা মানববন্ধন করেছে। তবে ভিন্নতা দেখা গেল মডেল নায়লা নাঈমের কর্মকাণ্ডে। রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ এলাকায় আন্দোলন করছিল ছিল নায়লা নাঈম।
ভরদুপুরে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নায়লা নাঈম শিক্ষার্থীদের দেখেন। এরপর নিজের মা'কে সাথে নিয়ে তাদের শুকনো খাবার দিয়ে আসেন।
নায়লা বলেন, বাচ্চারা না খেয়ে আন্দোলন করছে। আতদের পাশে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী দাঁড়ানো কর্তব্য বলে মনে করি। আমি আম্মুকে সাথে নিয়ে কিছু শুকনো খাবার দিয়ে এলাম।
গত রবিবার জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসা শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো—
১. বেপরোয়া চালককে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌপরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. প্রতিটি সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।
৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
৭. শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধ করতে হবে।
৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।
দাবিগুলো ইতোমধ্যে মেনে নিয়েছে সরকার। কিন্তু নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তার জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।