ঢাকার সড়ক দাপানো বাসের মালিক যারা

রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচলে নৈরাজ্য থামছেই না। সড়কে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসহীন বাস, আর এসব বাসের বেশিরভাগ চালকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ঢাকার বিভিন্ন সড়কে একই রুটের দুই বাসের মধ্যকার বিপদজনক পাল্লার ফাঁদে বলি হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। বেপরোয়া গতিতে ছুটে চলা বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস-মিনিবাস তোয়াক্কা করছে না কিছু। ঢাকার যানজটের অন্যতম কারণ হলো রাস্তার মাঝখানে এসব বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানো নামানো।

সবচেয়ে ভয়াবহ হলো একই রুটের অন্য বাস সামনে যেতে দেখলে রাস্তা আগলে দাঁড়ানো এবং বাসগুলোর পরস্পরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া। বাসের চালক-শ্রমিকদের কাছে কারো জীবনের কোনো মূল্য নেই, তাদের জন্যই আজ সড়কে সড়কে যাত্রী-পথচারী সবার জীবনই বিপন্ন।

পরিবহন মালিকদের ক্ষমতার দাপটে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটিয়েও চালক-শ্রমিকরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের নাকের ডগায় ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও অনভিজ্ঞ চালকদের দিয়ে বাস চালানো হলেও চালক-শ্রমিকদের খামখেয়ালিপনার প্রতিবাদ করার কেউ নেই।প্রশাসনের কর্মকর্তারাও এসব কোম্পানির গাড়ির কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন।

কারণ প্রভাবশালী মন্ত্রী , সংসদ সদস্য ও তাদের আত্মীয়স্বজনসহ শ্রমিক নেতা, যুবনেতা, পুলিশ কর্মকর্তারা নামে-বেনামে পরিবহনের মালিক।

রাজধানীতে অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও শ্রমিকরা বেশি যাত্রী পেতে একে অন্যের আগে যাওয়া নিয়ে অশুভ প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন। কোনো কিছুরই তারা তোয়াক্কা করেন। এরকমই চালকের খাম-খেয়ালিপনায় জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতায় একটি বাস রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতে ওঠে যায় এবং ফুটপাতে দাঁড়ানো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থীর ওপর উঠে যায়। এতে নিহত হয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একই কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী দিয়া খানম ওরফে মিম। আহত হয় আরো ১২ জন। গত রোববার দুপুরে মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনার রেশ এখনও চলছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিচার চেয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করছে গত দুদিন ধরে।

এর আগে চলতি বছর এপ্রিল মাসের শেষে রাস্তায় প্রতিযোগী দুই বাসের চাপায় পড়ে প্রথমে হাত হারান সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হোসেন, পরে জীবনও হারিয়েছেন। কাছাকাছি সময়েই বাসচাপায় মেরুদণ্ড ভেঙে চিরতরে পঙ্গু গৃহিণী আয়েশা খাতুন।

রাজধানীতে মিম, করিম, রাজীব আর আয়শার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ হাত-পা হারিয়ে বরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন পঙ্গুত্বের দুর্বিষহ জীবন। অনেককেই হারাতে হচ্ছে জীবনটিও। বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ও বিরোধী দলের নেতা, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি পরিবহন ব্যবসায় জড়িত। হিউম্যান হলার, অটোরিকশা ও অনেক বাস-মিনিবাসের মালিক পুলিশ কর্মকর্তা।

মিরপুর থেকে চলাচলকারী চয়েজ, সিল্কসিটি, বিকল্প, বিহঙ্গ, শিখর, ইটিসি, ইউনাইটেড, দিশারী, নিউভিশন, সুপার সিটিং, শিকড়সহ বিভিন্ন কোম্পানির মিনিবাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে চলছে। এ ছাড়া বিমানবন্দর সড়কে চলাচল করছে প্রভাতী, আজমেরী, জাবালে নূর, সুপ্রভাত স্পেশাল ও গাজীপুর পরিবহন। গুলিস্তান-ধামরাই রুটের বাস দিশারী, গাবতলী মিনিবাস মালিক সমিতি, নিউ ভিশন, ভুঁইয়া, মৌমিতা, তেঁতুলিয়া, ঠিকানা, সাভার, নূরজাহান মানিকগঞ্জ, ফুলবাড়িয়া, প্রজাপতি, লাব্বাইক, আশীর্বাদ, প্রজাপতি, হিমাচল ও বসুমতী পরিবহনের বাসগুলোও যাত্রী হয়রানির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে।

শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত জাবালে নূর পরিবহন মিরপুর থেকে উত্তরা ও রামপুরা বনশ্রী চলাচল করে। নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের শ্যালক মো. নান্নু মিয়া (৫০) এই পরিবহনের পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি মন্ত্রীর খালাতো ভাইও। থাকেন রাজধানীর বনশ্রী এলাকায়। জাবালে নূর পরিবহনের সঙ্গে মাহমুদ হোসেন নামে নৌপরিবহনমন্ত্রীর আরেক আত্মীয়ও জড়িত আছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও । নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের আরেক ভাই হাফিজুর রহমান খানের মালিকানায় আছে কনক পরিবহন।। এই কোম্পানির ২০টি বাস গাবতলী থেকে মিরপুর হয়ে আবদুল্লাহপুর চলাচল করে। এ ছাড়া শাজাহান খানের পরিবারের মালিকানায় ঢাকা-মাদারীপুরের পথে সার্বিক পরিবহনের বাস চলাচল করে।

রাজধানীতে গাড়িচাপায় সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষ হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছে তেঁতুলিয়া পরিবহন। মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর হয়ে আবদুল্লাহপুর রুটে পরিচালিত এই পরিবহনে অনুমোদিত গাড়ি আছে মাত্র ৫০টি। অথচ একই সাইনবোর্ডে ১৩০টিরও বেশি গাড়ি চলাচল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তেঁতুলিয়া পরিবহন কোম্পানির চেয়ারম্যান ভোলার এক এমপি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম মিয়া। জানা যায়, মাত্র আড়াই বছরে তেঁতুলিয়া গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ও বেপরোয়া চালানোজনিত দুর্ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে।

বসুমতি পরিবহন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দাকার এনায়েত উল্যাহর। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রভাবশালী পরিবহন নেতা। পাশাপাশি তিনি ঢাকা মহানগর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (আরটিসি) আঞ্চলিক সদস্য। মহানগর পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বাধীন এই কমিটি মূলত কোন পথে কোন বাস চলাচল করবে, তার অনুমতি দেয়। আজিমপুর থেকে উত্তরা পথে চলাচলকারী ‘সূচনা-বিআরএফ’ পরিবহনে যুক্ত রয়েছেন রয়েছে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়ার ছেলে আরিফুজ্জামানের (রনি) একজন প্রভাবশালী এমপির চাচাতো ভাইয়ের বাসও চলে ‘সূচনা-বিআরএফ’ পরিবহনে।আজিমপুর, মিরপুর-১২, কুড়িল ও সদরঘাট রুটে ৩০০ বাস চালায় বিহঙ্গ পরিবহন যার চেয়ারম্যানস্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এবং এমডি পরিবহন মালিক খোকন মিয়া।

প্রজাপতি পরিবহনের মালিক আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ শাহিদা তারেখ। বর্ত মান সরকারের আমলে এই পরিবহনও মিরপুরের নতুন উড়ালসড়ক হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ৫০টি বাস চালানোর অনুমতি পায়। এছাড়া সমবায় প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা মসিউর রহমানের মালিকানাধীন বাস চলাচল করে ঢাকার বাইরে রংপুরে। ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের ভাই মমতাজুল ইসলামের বাস চলে ঢাকা-ময়মনসিংহ গন্তব্যে শামীম এন্টারপ্রাইজে। পিরোজপুরের সাংসদ আবদুল আউয়ালের ভাই মশিউর রহমানের বাস চলাচল করে ওই জেলার বিভিন্ন পথে।

সম্প্রতি এক জরিপে সড়ক-মহাসড়কের মৃত্যুদানব বলে যে ১০টি পরিবহনের বেপরোয়া চলাচলের কথা তুলে আনা হয়েছিল সেসব পরিবহনের মালিকরাও একেকজন গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত। এসব পরিবহন হচ্ছে এনা, আজমেরী, এশিয়া, বিহঙ্গ, পদ্মা লাইন, পারিজাত, তুরাগ, তিশা, জাবেলে নুল, ইলিশা, প্রাইম ও হানিফ পরিবহন। অনাবিল সুপার গাড়ির ভাঙাচোরা অবস্থার যানবাহন চলে সাইনবোর্ড থেকে উত্তরার পথে। অনাবিল সুপার কোম্পানির চেয়ারম্যান সোলেমান মিয়া এবং এমডি ক্ষমতাসীন দলের নেতা জুয়েল দেওয়ান। অনেক প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তাও কয়েকটি পরিবহনের মালিক।

বর্তমানে ঢাকা ও আশপাশের রুটগুলোয় এক বা একাধিক মালিকের সমন্বয়ে গঠিত কোম্পানির আওতায় বাস ও মিনিবাস চলাচল করছে। এবার প্রত্যেক রুটেই একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রভাবশালীরা। এরই অংশ হিসেবে ‘এক রুটে এক কোম্পানি’ নীতিতে গাড়ি চালানোর কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা ও আশপাশ এলাকা সাত-আটটি রুটে ভাগ করা হবে। প্রতিটি রুটেই একক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বর্তমানে মতিঝিল, গুলিস্তান থেকে মোহাম্মদপুর রুটে নয়টি বাস কোম্পানির গাড়ি চলাচল করছে। গুলিস্তান থেকে মিরপুর রুটে ২০টির বেশি বাস কোম্পানির গাড়ি রয়েছে। বর্তমানে ঢাকায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার গাড়ি চলাচল করে।

মোহাম্মদপুর থেকে সায়েদাবাদ চলাচলকারী আয়াত, হিমাচল, নবকলি, মেশকাত ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড ও এভারেস্ট পরিবহন লিমিটেডেরও বেপরোয়া চলাচল ও অনেক দুর্ঘটনা ঘটানোর নজির রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী এটিসিএল, এফটিসিএল, মিডওয়ে, বাহন, ৮ নম্বর (গাবতলী-যাত্রাবাড়ী), ৩ নম্বর (সুপ্রভাত) ও তুরাগ পরিবহনের যাত্রীরা বলেন, এই পরিবহন কোম্পানির বাসগুলো একটি আরেকটির সঙ্গে ‘রেসিংয়ে’ মেতে ওঠে রাস্তায়। সিরিয়ালের গাড়ি হলেও একটি অন্যটিকে পেছনে ফেলতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে সামনের বাস না সরলে পেছনের বাসটা সজোরে ধাক্কাও মারছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ট্রাফিক) এক কর্মকর্তা বলেন, পদে পদে বাধা-প্রতিকূলতা থাকলেও পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে কার্পণ্য করে না। কিন্তু অধিকাংশ ফিটনেসবিহীন গাড়ি প্রভাবশালী রাজনীতিক কিংবা শ্রমিকনেতার। যাদের ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা। পাল্টা অভিযোগও রয়েছে। বলা হয়, পুলিশ ইচ্ছা করেই এসব অজুহাত দাঁড় করায়। কারণ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি পুলিশের ঘুষ-বাণিজ্যের অন্যতম ‘কাঁচামাল’।

ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের হাতে নয়, ব্যবসায়ীদের হাতেই পরিবহন ব্যবসা আছে। তিনি বলেন, পরিবহন খাতে প্রতিনিয়ত আইনের প্রয়োগ আছে এবং সর্বোচ্চ মাত্রার প্রয়োগই হচ্ছে। বরং আইনি জাঁতাকলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। সেখানে বেপরোয়া চলাচলের প্রশ্নই ওঠে না। খন্দকার এনায়েত বলেন, ইদানীং বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতায়, অসচেতনতা।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানীতে ৮৭ শতাংশ বাস-মিনিবাসই নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত। প্রভাবশালী মালিকের ক্ষমতার দাপটে চলছে এই গণপরিবহন সেক্টর।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেতনভুক্ত চালক দিয়ে লোকাল (বাস) গাড়ি চালালে মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে নগরীর অধিকাংশ পরিবহন মালিক তাদের বাস মিনিবাস চালককে চুক্তিতে চালাতে দিচ্ছে। চুক্তির কারণেই চালকরা বেপরোয়া। কারণ একই রুটের যে বাস আগে শেষ গন্তব্যে পৌঁছাবে সেই ফিরতি ট্রিপের সিরিয়াল পাবে আগে। এ কারণে একই রুটের বাসের মধ্যেই ভয়াবহ মরণ রেস দেখা যায়। আর এ প্রতিযোগিতার কারণেই এ রেসের পরিণতি হয় দুর্ঘটনা।

নগরীর ১৩টি পয়েন্টেই এ প্রতিযোগিতা বেশি থাকে। এসব পয়েন্টে যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। পয়েন্টগুলো হচ্ছে-গাবতলী, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, গুলিস্থান, মতিঝিল শাপলা চত্বর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরার আজমপুর, বিমানবন্দর গোল চত্বর, মহাখালী ও যাত্রাবাড়ি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে,রাজধানী ঢাকার সড়কে দুই লাখ যানবাহন চলাচল করার কথা থাকলেও চলছে ১০ লাখেরও বেশি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যাই প্রায় দেড় লাখ। এসব যানবাহনের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। দেশে নিবন্ধিত প্রাইভেটকারের ৭৫ শতাংশই চলছে এখানে। অথচ এসব পরিবহনে যাতায়াত করে মাত্র ৮ ভাগ যাত্রী। অন্যান্য যানবাহন বহন করে বাকি ৯২ ভাগ যাত্রী। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, বাসের অসম প্রতিযোগিতা বলা যাবে না। এ নিয়ে অনেক সমস্যা আছে, সেগুলোর সমাধান দরকার। তিনি বলেন, পথিমধ্যে বাসে যাত্রী ওঠানো নামানো হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে আমরা প্রায় মালিক শ্রমিকসহ সবার সাথে কথা বলি। কারণ এসব নোংরা কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়া দরকার।এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশকে সতর্ক ও কঠোর হবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। -pbd

শেয়ার করুন: