ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট সিটির নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা স্থগিতের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ সোমবার রাতে নগরীর আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ফল স্থগিতের এ আবেদন করেন।
সেখানেই মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া ফল এবং ঘোষিত ফলের মধ্য পার্থক্য থাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ফল স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে প্রাপ্ত সর্বশেষ ফলাফলে দেখা গেছে বিএনপির প্রার্থী ৪ হাজার ৫০৮ ভোটে এগিয়ে আছেন। রাত ১১টা পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে ১৩৪ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১১১ কেন্দ্রে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৫০৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা) পেয়েছেন ৭১ হাজার ৯৯৭ ভোট।
আজ সোমবার বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী একপ্রকার হতাশার সুরেই নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলেন। দিনভর ভোট গ্রহণে নানা অভিযোগ করেন সদ্যবিদায়ী এই মেয়র।
বিএনপির পক্ষ থেকে আজ দুপুরের দিকে অভিযোগ করা হয়, অন্তত ৪১টি কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা। তারা বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও জানানোর কথা বলেন। বিএনপি প্রার্থীর বক্তব্য এবং অন্য দুই সিটির নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে এমন ধারণা অনেকের মধ্যে সৃষ্টি হয়, হয়তো সিলেটও শাসক দলের দখল যাবে।
তবে আজ ফলাফল ঘোষণার শুরু থেকেই চমক দেখা যায়। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে দুটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে এগিয়ে যান আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আম্বরখানা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে নারী ও পুরুষ কেন্দ্রে বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৮ ভোট আর নৌকা প্রতীকের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পান ৫৬৬ ভোট। দুই কেন্দ্রে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের পেয়েছেন ২০০ ভোট।
এরপর একটির পর একটি কেন্দ্রের ফল আসতে থাকলে কঠিন লড়াইয়ের চিত্রটি স্পষ্ট হয়। কখনো এগিয়ে থাকেন কামরান, কখনো আরিফুল।
সূত্র : প্রথম আলো