বিরল ‘ব্লাড মুন’ দেখেছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। শুক্রবার (২৭ জুলাই) দিনগত রাত ১১টা ১৩ মিনিটি ৬ সেকেন্ডের পর থেকে চমকপ্রদ এই মহাজাগতিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে।
শতাব্দীর দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে মূলত সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে আসে। ফলে পৃথিবীর পরোক্ষ ছায়ায় চাঁদকে রক্তাভ দেখায়। এর জন্যই এই চাঁদকে ডাকা হয় ‘ব্লাড মুন’।
ঢাকার আকাশে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে রাত ১১টা ১৩ মিনিটি ৬ সেকেন্ডে। কেন্দ্রীয়গ্রহণ হয়েছে রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে আর গ্রহণ শেষ হবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে।
এই গ্রহণ দেখার জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছে গোটা বিশ্বে। ঢাকাতেও বিজ্ঞান যাদুঘরের পক্ষ থেকেও দেখা হচ্ছে ‘ব্লাড মুন’।রাজধানী থেকে 'ব্লাড মুনে'র ছবিটি তুলেছেন ডি এইচ বাদল।
এবারের চন্দ্রগ্রহণটি অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, কারণ এসময় চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকাটি অতিক্রম করবে। ২০২৮ সালে আবার পূর্ণ ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে। তবে সেটার স্থায়িত্ব হবে ১০৩ মিনিট, অর্থাৎ এবারের মতো দীর্ঘ সময় ধরে ‘ব্লাড মুন’ দেখার জন্য পৃথিবীকে অপেক্ষা করতে হবে ২১২৩ সাল পর্যন্ত।
আর্থস্কাই জানায়, ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দেশগুলো থেকেও দেখা যাচ্ছে এই মহাজাগতিক দৃশ্য। এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ থেকে ২৭ জুলাই দিনগত মধ্যরাতের পর থেকে চাঁদের এমন বিরল সৌন্দর্য অবলোকন করা যাচ্ছে। ২৮ তারিখ ভোর থেকেও চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করবে অনেক দেশ।
নিউজিল্যান্ড থেকে ২৮ জুলাই ভোরের দিকে চন্দ্রগ্রহণের কেবল শুরুর দৃশ্যটা দেখা যাবে। এদিকে, ইউরোপ ও আফ্রিকা থেকে এই দৃশ্য সবচেয়ে ভালো উপভোগ করা যাচ্ছে এবং এসব অঞ্চলে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়েছে সন্ধ্যায়। উত্তর আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও অ্যান্টার্কটিকের বেশিরভাগ অঞ্চল এই দৃশ্য থেকে বঞ্চিত হবে।