একসময় জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়ে সারাবিশ্বে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান। আর এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। একজীবনে পরপর তিন নারীর সঙ্গে ঘরও বেধেছেন।
এ নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার অন্ত নেই। তার প্রথম স্ত্রী থাকেন লন্ডনে। সেখানে ইমরানের দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছেন।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী রয়েছেন পাকিস্তানেই। প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও সম্পর্কটা অতটা তিক্ত নয়। কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ত্রী মোটেও সহ্য করতে পারেন না ইমরানকে।
আর এ কারণেই ইমরানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিয়ে প্রথম স্ত্রী জেমাইমা তাকে শুভেচ্ছা জানালেও বাকি দুজন এখনও রয়েছে একেবারেই নিরব। ১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ ধনকুবের পরিবারের কন্যা জেমাইমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেন ইমরান।
২০০৪ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০১৫ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত রিহাম খানকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু মাত্র ১০ মাস পেরুতেই সেই বিয়েও ভেঙ্গে যায় তার। এরপর জীবনের আরেক ইনিংস শুরু করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
খেলা ছেড়েছেন বহু আগে। বল হাতে তাই আর হ্যাটট্রিক করার সুযোগ নেই ইমরান খানের। তবে তাতে কি। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এই অধিনায়ক নারী পটানোর খেলাতেও কম পটু নন। বিয়েতেও হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। পাকিস্তানের সুন্দরী মানেকার গলায় মালা পরিয়ে তৃতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও সেরেছিলেন তিনি। লোকমুখে শোনা যায় ইমরান এখনও প্রথম স্ত্রীর বন্দনা করে থাকলেও দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়ে বেশ নারাজ তিনি।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, ‘আমি সাধারণত রেহাম খানকে নিয়ে মুখ খুলি না। এখন এটা বলব যে, জীবনে বেশ কিছু ভুল করেছি।
এর মধ্যে দ্বিতীয় বিয়েটা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।’ তবে তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মানেকাকে নিয়ে বেশ খুশি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান।
তৃতীয় স্ত্রী বুশরা মানেকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিয়ের আগে আমি তার চেহারার দিকে এক পলকও তাকাইনি। আমি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি তাকে না দেখেই।
কারণ, সে কখনো তার পুরো মুখ না ঢেকে আমার সামনে আসত না। ২০১৫ সালে তার সঙ্গে যখন আমার প্রথম দেখা হয় তখনো সে তার প্রথম স্বামীর সঙ্গে থাকত। তার বাড়িতে একটি পুরনো ছবি ছিল, সেটা থেকেই আমি তার চেহারা দেখেছিলাম।’
৩৯ বছর বয়সী বুশরা মানেকা সম্পর্কে ইমরান খান আরও বলেন, ‘তিনি একজন ধর্মীয় পণ্ডিত। ভক্তদের কাছে পথপ্রদর্শক তিনি। স্বামী ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সামনে আসেন না তিনি। এলেও মুখ নেকাবে ঢাকা থাকে।’
ইমরান খানের সঙ্গে রেহাম খানের দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ১০ মাস। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রেহাম খানকে বিয়ে করেন সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক। ওই বছরের অক্টোবরেই ভেঙে যায় তাদের সংসার।
কিন্তু সেই স্ত্রীর কারণেই পাকিস্তানের নির্বাচনের আগে বিপাকে পড়েন দেশটির বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। ‘রেহাম খান’ শীর্ষক আত্মজীবনীমূলক বইয়ের পাণ্ডুলিপি ফাঁস হওয়ায় তার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য বেরিয়ে আসে।
১৯৯২ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন করা দলের অধিনায়ক ছিলেন ইমরান। নব্বুই দশকে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের খ্যাতিও ছিল তার। খেলোয়াড়ি জীবনে সুদর্শন এই ক্রিকেটার প্লে-বয় হিসেবেও ছিলেন বেশ আলোচিত। খেলা ছাড়ার পর রাজনীতিতে নামেন। বর্তমান দেশটির অন্যতম বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাম পার্টি (পিটিআই) এর চেয়ারম্যান।