তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান, প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান হতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কেন তিনি ভারতের জন্য বিপজ্জনক হতে পারেন?
ইমারানের পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সমর্থন। তিনি সেনাকে সঙ্গে নিয়েই সরকার চালাবেন বলেছেন। অনেকেই মনে করছেন তিনি সেনার অঙ্গুলিহেলনেই কাজ করবেন।
পাক সেনাবাহিনীর মদতেই যে কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাজকর্ম চালাচ্ছে তা সকলেরই জানা। ইমরান সরকারে এলে তার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিনি তালিবানদের সমর্থনও করেছেন। ইমরান খানের বদলে তাঁকে অনেকে ‘তালিবান খান’ বলে ডাকছেন।
কাশ্মীর বা জঙ্গি হামলার ইস্যুতে ইমরান যে পাক সেনার লাইন অনুসরণ করবেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে পাকিস্তানে ইমরানের নেতৃত্বে যে সরকার চলবে তার ভারত-বন্ধু হয়ে ওঠার সম্ভবনা কম।
আমেরিকার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ইমরানের নেতৃত্বে সরকার চিনের সঙ্গে দোস্তি করার সম্ভবনাই বেশি। তা ভারতের জন্য খুব সুখের হবে না।
পাকিস্তানের জেহাদি সংগঠনগুলি অবাধে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সেনা ও ইমারনেরও প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে এই অংশগ্রহণে। ফলে পাক জঙ্গিদের দমনের বদলে নতুন সরকার যে তাদের বাড়তে দেবে এমনই আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলে।
ইমরান খান প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছেন। তাঁর ভারত ঘেঁষা নীতিরও পরোক্ষে সমালোচনা করে ইমারন বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের অবস্থান।
ইমরানের কোনও সমর্থক নেই ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের ভারতীয় রাজনীতিতে ‘বন্ধু’ ছিল। ফলে ভারতের সঙ্গে ইমরানের সম্পর্ক সহজ করার রাস্তা অনেক কম।
এই প্রাক্তন পাক ক্রিকেট ক্যাপ্টেনের আমলে যে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুস্থিতি আসবে তার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে ভারতের প্রতিবেশী দেশ উত্তপ্ত থাকলে তার প্রভাব পড়বে এই দেশেও।