ইন্টারনেটে কত কী ভাইরাল হয়। আবার মুহূর্তে তাকে সরিয়ে জায়গা করে নেয় অন্য কিছু। বছরখানেক আগে এক তরুণীর ছবি ঘিরে শোরগোল পড়েছিল।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো হতে গিয়ে ‘খোদার উপরে খোদকারি’র চেষ্টায় বিপত্তি ঘটিয়েছিলেন ইরানের এক তরুণী। হয়ে উঠেছিলেন কুরূপা। যাকে দেখলে দিনের আলোতেও ছ্যাঁৎ করে ওঠে বুকের মধ্যে।
গল্পের বইতে ডাইনি বা প্রেতিনীদের যেরকম সব ছবি দেখা যায়, প্রায় সেই রকমই দেখতে হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল, এই ভোল বদলের জন্য সব মিলিয়ে নাকি ৫০টি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি! বছর ঘুরতে তা ঘুরতেই ‘আবার সে আসিছে ফিরিয়া’। সেই মেয়ে, সাহার তাবার নামের ২০ বছরের তরুণীটি আবার নেটিজনদের নজরে।
সেই সময় অনেকেই তাঁর ছবি দেখে খারাপ সব মন্তব্য করেছিলেন। এবার সাহার সামনে আনলেন তাঁর আসল চেহারা। সে ছবিতে তাঁর রূপের জৌলুস দেখে তাক লেগে যেতে বাধ্য।
তরুণী জানিয়েছেন, নিছকই ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ার বাড়াতে নিজের ছবিতে ফোটোশপ করে নিজেকে কুৎসিত দর্শন করে তুলেছিলেন তিনি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হওয়ার কোনও ইচ্ছে তাঁর ছিল না। সবটাই মেক আপ আর ফোটো এডিটিং-এ জাদু নয়। সত্যি সত্যিই কয়েকটি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন সাহার।
তবে তার ফলে তিনি ভয়ঙ্কর দর্শন কুরূপা হয়ে উঠেছিলেন, তা নয়। স্রেফ ফোটো এডিটিং-এর কায়দাবাজিতে নিজের চেহারাকে বদলে সকলের সামনে পেশ করেছিলেন তিনি।
সাহার তাবারের মতে, তাঁর এই ভোল বদল আসলে শৈল্পিক এক এক্সপেরিমেন্ট। তাঁর আসল ছবি দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা। প্রশ্ন উঠছে, এমন সুন্দর চেহারাকে বিকৃত করে জনপ্রিয় হওয়ার অর্থ কী? সাহার অবশ্য সেসব ভাবছেন না। তাঁর কাছে যে ‘সবার উপরে ফলোয়ার সত্য’! সাধে কী বলে, ঘোর কলি!