নারী নিয়ে পালিয়েছিলেন আসাদ পং পং

বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাপক সমালোচিত মালয়েশিয়া প্রবাসী আসাদ পং পং। তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বাংলাদেশের নানান বিষয় নিয়ে বাজে মন্তব্য করে আসছিলেন। বাদ যায়নি রাজনৈতিক দলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে খেলোয়াড়রাও।

শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান, জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেন, গায়িকা পড়শীসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সমালোচনাই যেন ছিল তার কাজ।

জানা যায়, (আসাদ পং পং) এর আসল নাম কামরুজ্জামান শিকদার। তার বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমত ইউনিয়নের ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল আজিজ শিকদার।

চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে কামরুজ্জামান সবার ছোট। বাবুগঞ্জ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর তার পড়ালেখা করা হয়নি।

১৯৯৩ সালে উপজেলা সদর খানপুরা এলাকার এক নারীকে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান কামরুজ্জামান। কিন্তু বেশি দিন তা স্থায়ী হয়নি। দুই পরিবারের চাপে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। যা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ১৯৯৪ সালে অর্থাৎ প্রায় দুই যুগ আগে জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান কামরুজ্জামান। দীর্ঘ সময় সেখানে বসবাস করে কামরুজ্জামান নাম বদলে হয়ে যান আসাদ পং পং।

এরপর মালয়েশিয়ার কেপাং শহরে অবস্থানকালে চাইনিজ মালয় (তার বয়সের চেয়ে ৫ বছরের বড়) এক নারীকে বিয়ে করেন পং পং। তার স্ত্রী একটি হাসপাতালের সেবিকা হিসেবে কর্মরত। সেখানে নানা মানুষের সমালোচনা করেই দিন কাটছিল তার।

রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহমুদ বলেন, এলাকায় কামরুজ্জামানের (আসাদ পং পং) বেয়াদব হিসেবে পরিচিত। তার আচরণে একসময় গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। এক নারীকে নিয়ে উধাওয়ের পর লোকলজ্জায় এলাকা ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সেখানেও বেয়াদবি চালিয়ে যান পংপং।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ফেসবুক লাইভে বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর ভাষায় মন্তব্য করেন কামরুজ্জামান (আসাদ পং পং)।

এ ঘটনায় মালয়েশিয়া বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মামুন বিন আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে আইসিটি আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় কামরুজ্জামানকে (আসাদ পং পং) গ্রেফতার করে মালয়েশিয়া পুলিশ।

শেয়ার করুন: