মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উজ্জল নক্ষত্র। নেতৃত্ব পেয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে গেছেন অন্যান্য উচ্চতায়। অধিনায়ক হিসেবে শুধু বাংলাদেশের নয়, সারাবিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
সেই মাশরাফিকেই বিভিন্ন সময় নানান ভাবে আঘাত দেওয়া হয়েছে। ২০১১ বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে তার কান্না এখনও মনে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
টি-টোয়েন্টি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন; কিন্তু সময়টা কম পেলেন। সরতে হলো দায়িত্ব থেকে। তারপর হয়ে গেল আরও অনেক নাটক। আরও একবার ফেরানো হলো তাকে। টি-টোয়েন্টি থেকে মাশরাফির অসময়ে অবসর মেনে নিতে পারেননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। রাস্তায় প্রতিবাদ হয়েছে।
দেশের টেস্ট ক্রিকেটে যখন ক্রান্তিকাল চলছে, তখন চাইলেন ফিরতে কিন্তু বিসিবি সাড়া দিল না। বিসিবি চাইছিল মাশারাফি টি-টোয়েন্টিতে ফিরুক। সংবাদমাধ্যমে লেখালেখির পর বিসিবি সভাপতি ম্যাশকে টেস্টে ফেরানোর ব্যাপারে বললেন কিন্তু অভিমানী ম্যাশ ‘না’ বলে দিয়েছেন ততদিনে।
গত প্রায় এক বছর ধরে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে ভয়াবহ অবস্থায় আছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। গড়েছে নিজেদের সর্বনিম্ন দলীয় ৪৩ রানের লজ্জার রেকর্ড।
টানা পাঁচ ইনিংসে দেড়শ রানের নিচে অল-আউট হয়ে ৬০ বছরের ‘রেকর্ড’ ভেঙে দিয়েছে! তারপর ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দিতে দেশ থেকে উড়ে গেলেন ম্যাশ। প্রথম ওয়ানডে বিশাল ব্যবধানে জিতে দলের অবস্থাই পাল্টে গেল!
গায়ানায় শুধু নেতৃত্বের ম্যাজিকটাই দেখাননি মাশরাফি, দেখিয়েছেন বল হাতে জাদু। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, ৩৪ বছর বয়সেও কেন তিনি দেশের সেরা পেসার।
অথচ এই পারফর্মেন্সের আগে তেমন কোনো অনুশীলনের সুযোগ পাননি ম্যাশ। তাহলে কি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি আর টেস্টকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে ফিরবেন কি ম্যাশ? ম্যাশ ফিরুক টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট ক্রিকেটে এমনটাই আশা দেশের ক্রিকেট প্রেমীদের।