বাঁচতে চায় দরিদ্র পরিবারের মেয়ে বৃষ্টি

যে শৈশবে মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়ানোর কথা সেই বয়সেই হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে ছয় বছরের দরিদ্র শিশু বৃষ্টি। শিশুটির বাবা ছোট্ট মিয়া নরসিংদীর আলোকবালী এলাকায় মেঘনা নদীর জেলে।

বাবা মা স্ত্রী সন্তান নিয়ে পরিবারের সদস্য ৮ জন। মাছ ধরে যা টাকা আসে তা দিয়েই কোনোরকম সংসার চলতো। কিন্তু হঠাৎ কয়েকমাস আগে মেয়েটির ডান কিডনিতে পাথর হওয়াতে সম্পূর্ণ ব্লক অকেজো হয়ে পড়ে।

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালে ভর্তি করালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় অপারেশন করতে হবে দ্রুত। অপারেশন সম্পন্ন হলেও কিডনিতে পাথর রয়ে যায়।

যার ফলে কিছুদিন পর পুনরায় অপারেশন করতে হয়। দ্বিতীয় বার অপারেশনে ডাক্তার একটি নল ঢুকিয়ে দেয়, বলে পাথর নল দিয়ে চলে আসবে। কিন্তু পাথর না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় দরিদ্র পরিবারকে।

২ বার অপারেশন করাতে গিয়ে দরিদ্র ছোট্ট মিয়ার প্রায় ১ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়। বাড়ির জমিজমা বিক্রি করে শিশুটির চিকিৎসা করালেও সে এখনো সুস্থ্য হতে পারে নি।

এবার যদি পাথর বের করা না যায় তাহলে তার কিডনি কেটে ফেলতে হবে বলে জানায় চিকিৎসক। প্রয়োজন প্রায় ৪০ টাকার মতো। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এখন আর এই টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই অসহায় ছোট্ট মিয়া বৃত্তবানদের কাছে সহযোগীতা চাচ্ছেন। শিশুটির বাবা ছোট্ট মিয়া জানায়, ‘আপনারা আমার বাচ্চা মেয়েটাকে বাঁচান। সে বাঁচতে চায়। অন্য বাচ্চাদের মতো খেলতে চায়, লেখাপড়া করতে চায়।

ডাক্তার সাহেব বলেছে এবার যদি আমার মেয়ের অপারেশন না হয় তাহলে তার কিডনি কেটে ফেলতে হবে। আপনাদের একটু সহযোগীতাই পারে আমার মেয়েকে বাঁচাতে।’ শিশুটির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে, যোগাযোগ: 01944130500

শেয়ার করুন: