রামী রেড্ডি সবসময় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি অবিস্মরণীয় নাম ছিল। এই অভিনেতা ২০০ এর বেশি বলিউড এবং তামিল সিনেমাতে ভিলেনের অনেক চরিত্রে অভিনয় করে সবাইকে ভীত করেছেন, তার মধ্যে কিছু আমাদের স্মৃতিতে আজও অমর।
বিশেষত, ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চিকারা’ এর নেতিবাচক ভূমিকা ‘ওয়াক্ত হামার হায়’ এবং ‘প্রতিবন্ধ’ এ ‘আন্না’ র চরিত্র তাকে অনেক জনপ্রিয় করে তোলে এবং তাকে পরিচালকদের সেরা পছন্দ করে তোলে। কিন্তু তার আসল জীবনের কিছু দুঃখজনক দৃশ্যের মুখোমুখি হওয়ার কারণে তার লিভারের রোগ ধরা পড়েছিল।
রামী রেড্ডি উরফে গঙ্গাসানী রামী রেড্ডির পুরো গল্প
তিনি ১ লা জানুয়ারি ১৯৫৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তর জেলার বালমিকিপুরম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার আগের জীবন
রামী ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জারনালিসমে গ্রাজুয়েসন করেছেন । সিনেমায় আসার আগে তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমের জন্য সাংবাদিকতার কাজ করতেন ।
রামী একটি তেলেগু সিনেমা দিয়ে সিনেমায় নামেন
তার প্রথম সিনেমা ছিল ‘অংকুশসাম’ যেটি ১৯৯০ সালে মুক্তি পায়। এই সিনেমায় ‘সপ্ট নাগা’ এর চরিত্রটি খুবই জনপ্রিয় হয় তার অভিনয় আর সংলাপের কারনে।
বলিউডে তার এন্ট্রি একটি সহজ ব্যাপার ছিল।
একই বছরে, রমী তার বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন ‘প্রতিবন্ধ’ ছবি দিয়ে । চলচ্চিত্রে ‘আন্নার’ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তাকে প্রতিষ্ঠা প্রদান করে এবং তাকে এই শিল্পে একটি স্বীকৃত চরিত্র দেয়। তারপরেও, তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রগুলির জন্যও কাজ করেছিলেন।
এরপর তার জীবন একটি আকস্মিক ঘটনা ঘটে যায়…
শরীর খারাপের কারনে…
রামী এরপর জনসাধারণের সামনে কম আসতে শুরু করেন এবং বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে কাটান।
তার স্বাস্থ্য হ্রাস হতে থাকে …
এটি তার জন্য একটি দ্বিগুণ আঘাত ছিল কারণ তার হঠাৎ কিডনির সমস্যাও শুরু হয় ।
পরের ছবি দেখলে বুঝতে পারবেন যে কি প্রকার পরিবর্তন হয়েছিল এই অভিনেতার শরীর খারাপের কারনে।
রামীকে চেনা যেত না তার এই শারীরিক পরিবর্তনের জন্য
উপরের ছবিটি তা প্রমাণ করে ।
খুব শীঘ্রই বলিউড এক ভালো অভিনেতাকে হারায়…
অবশেষে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং কয়েক মাস চিকিৎসার পর রামী তার রোগে আরো আক্রান্ত হয়ে পড়েন এবং ১৪ ই এপ্রিল ২০১১ সালে তিনি তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ।
বলিউডে রামীর যাত্রা সত্যি অভাবনীয় ছিল। ভারতীয় দর্শকদের কাছে তিনি একজন প্রিয় ভিলেন ছিলেন। তার দুঃখজনক মৃত্যু নিশ্চয়ই তার ভক্ত এবং অনুগামীদের জন্য দুঃখজনক ছিল।