প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান ও কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আকম বাহা উদ্দিন বাহার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় দু’পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ হাজী আকম বাহা উদ্দিন বাহার নির্মাণাধীন কুমিল্লা মহানগর আ’লীগ অফিসটি দেখালে প্রধানমন্ত্রী উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, গত ১ জুলাই নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের ছেলে আসিব খানের সাথে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আকম বাহা উদ্দিন বাহারের মেঝো মেয়ে আইমান বাহার সোনালীর বিয়ে সম্পন্ন। এ উপলক্ষে দু পরিবারের ঘনিষ্টজনরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নব দম্পত্তির জন্য দোয়া করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতের পরে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আকম বাহা উদ্দিন বাহার জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহানগর কমিটি দিয়ে আমাদেরকে উৎসাহিত করেছেন,তাই আমিও মহানগর আওয়ামীলীগ অফিসটি নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই। সে লক্ষ্য কাজ চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নির্মাণাধীন অফিসটির ছবি দেখালে তিনি বেশ উচ্ছাসিত হন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় হাজী আকম বাহা উদ্দিন বাহারের বড় মেয়ে কুমিল্লা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর আহবায়ক ও জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনাকে কাছে নিয়ে টেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন তোমাকে ছোটকালে কোলে নিয়েছি তোমার কি মনে আছে। পরে প্রধানমন্ত্রী তাহসিন বাহার সূচনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এগিয়ে নিয়ে যাও।
সাক্ষাতের পরে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহবায়ক ও জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা এই মুহূর্তে যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে, এখন পর্যন্ত আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে আনন্দময় বা সৌভাগ্যের ব্যাপার কি? আমি বলবো বঙ্গবন্ধু কন্যার সান্নিধ্য ।
শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে পরিনত বয়সে আমি প্রধানমন্ত্রীকে যতই দেখছি মুগ্ধ হচ্ছি । আমি শ্রদ্ধাবনত তাঁর সততা , দৃঢ়তা, সাহসিকতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেমের কাছে ।
আজ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মাননীয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা ,গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা কে দেখে আমার মুগ্ধতা আরো শত শত গুন বেড়ে গেছে। উনার ব্যক্তিত্ব আর মমত্ববোধ আমাকে এক অন্য রকম ঘোরে নিয়ে গেছে। এই ৪৫ মিনিট আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি হয়ে থাকবে আজীবন ।