সব কটারে শেষ করে দিলাম; মা-ছোট ভাই-খালাকে হত্যার পর তুহিন !

পাবনার বেড়া উপজেলায় আপন মা, ছোট ভাই ও খালাকে কুপিয়ে হত্যার করেছেন ছেলে তুহিন (২২)। আজ বুধবার ভোরে বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপদ্মা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হল তুহিনের মা বুলি খাতুন (৪৮), ছোট ভাই তুষার (১০) এবং খালা মরিয়ম খাতুন (৫০)।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী তুহিনের স্ত্রী রুনা খাতুন বলেন, ফজরের আজানের কিছু আগে শাশুড়ির গোঙানীর শব্দে ঘুম ভেঙে যায় আমার। চোখ খুলে দেখি স্বামী তুহিন পাশে নেই।

দরজা খুলে বাইরে যেতেই দেখি বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় শাশুড়ি, ছোট দেবর ও খালা শাশুড়ির মরদেহ পড়ে আছে। পাশে ধারালো অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা আমার স্বামী আমাকে দেখেই বলে ওঠে, ‘সব কটারে শেষ করে দিলাম।’ আমি ভয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই।

তুহিনের স্ত্রী আরও বলেন, তুহিনের সঙ্গে তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। মাস দুয়েক আগে টাইফয়েড জ্বর থেকে ভাল হয়েছে। গত মাসে তুহিন নিজে এবং আমাকে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পাবনার বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাসান বলেন, বুধবার ভোর রাতে একটি ধারালো চাপাতি দিয়ে তুহিন বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা মা, ছোট ভাই তুষার ও খালাকে কুপিয়ে হত্যা করে।

নিহতের চিৎকারে পাশের ঘর থেকে তুহিনের স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় সে। হত্যাকারী তুহিন মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার স্ত্রী রুনা আকতার দাবি করলেও পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তুহিনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বেড়া থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণেই এমনটি ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তারপরেও বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

শেয়ার করুন: